পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮২
মহাভারত।

সর্পকূলধম তক্ষক বলদৰ্পে উদ্ধত হইয়া যে তোমার পিতাকে দংশন করিয়াছে, ইহা অপেক্ষা আর কি অকার্য হইতে পারে? ধন্বন্তরি রাজর্ষিবংশরক্ষাকর্তা দেবতুল্য রাজার প্রাণরক্ষার্থে আসিতেছিলেন, ঐ পাপাত্মাই তাহাকে নিবৃত্ত করে[১]। অতএব মহারাজ! অবিলম্বে সর্পসত্রের অনুষ্ঠান করিয়া ঐ পাপিষ্ঠকে প্রজ্বলিত হুতাশনমুখে আহুতি প্রদান কর। ইহা করিলেই পিতার বৈর নির্যাতন করা হইবেক এবং আনুষঙ্গিক আমারও মহত্তর অভীষ্ট সম্পন্ন হইবেক। মহারাজ! আমি গুরুদক্ষিণা আহরণার্থে যাত্রা করিয়াছিলাম, তাহাতে ঐ দুরাত্মা যৎপরোনাস্তি বিঘ্ন ঘটাইয়াছিল।

 সৌতি কছিলেন, রাজা জনমেজয় শুনিয়া তক্ষকের প্রতি অত্যন্ত কুপিত দুইলন। যেমন হবিঃ প্রয়োগ করিলে অগ্নি প্রদীপ্ত হইয়া উঠে, সেই প্রকার উতঙ্কবাক্যরূপ হবিঃপ্রক্ষেপ দ্বারা রাজার কোপানল প্রজ্জ্বলিত হইয়া উঠিল। তখন রাজা সাতিশয় দুঃখিত হইয়া উতঙ্কের সমক্ষেই মন্ত্রীদিগকে পিতার স্বর্গপ্রাপ্তি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন। রাজেন্দ্র জনমেজয় উতঙ্কমুখে পিতার মৃত্যুবৃত্তান্ত শ্রবণমাত্র দুঃখে ও শোকে অভিভূত হইলেন।


  1. শৰ্মীক মুনির পুত্র রাজা পরীক্ষিৎকে অভিসম্পাত করিলে তক্ষক তাঁহাকে দংশন করিতে যাইতেছিল, ধন্বন্তরি তাহা জানিতে পারিয়া বিষচিকিৎসা দ্বারা রাজার প্রাণরক্ষার্থে গমন করিতেছিলেন। পথিমধ্যে তক্ষক ঠাহার পরিচয় পাইয়া যথেষ্ট ধন দানাদি দ্বারা তাঁহাকে