পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ৩১ মহাহর্ষে কৃষ্ণনগর রাজধানীতে আগমন করিলেন। পরে রাজা শ্রবণ করিলেন যে প্রধানখ পণ্ডি- , তেরা আগমন করিয়াছেন । পাত্রের প্রতি রাজা আজ্ঞ করিলেন, অনেকানেক পণ্ডিতের আগমন হইয়াছে ; অতএব তঁহাদিগকে উত্তম স্থানে বাস। এবং উত্তম খাদ্য সামগ্ৰী দাও, যেন তাহার কোনমতে ক্লেশ না পান । পাত্র রাজ আজ্ঞা মতে নিম ন্ত্রিত পণ্ডিতগণকে উত্তম স্থানে বাস দিলেন যথেষ্ট খাদ্য দ্রব্য আহরণ করিয়া দিলেন এরং তাহারদিগের পরিচর্য্যাৰ্থ ভূত্য নিযুক্ত করিয়া দিলেন। পর দিবস রাজা সভ করিয়া পণ্ডিতদিগকে আহ্বান করিলে তাহারা আসিয়া মহারাজকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া সভাস্থ হইলে নান। শাস্ত্রের বিচার হইত্তে লাগিল । বিচারানন্তর, পণ্ডিতের মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে নিবেদন করিলেন, মহারাজ ! কি কারণ আমারদিগের প্রতি রাজলিপি প্রেরিত হইয়া- . ছিল ? রাজ। উত্তর করিলেন, হে সৎ সৎ মধ্যস্থিত বিদ্বানগণ! আমি বাসন করিয়াছি যে, যজ্ঞ করিব । আপনার বিচার করিয়া আজ্ঞা করুন, কি যজ্ঞ করিব ? সুধীগণ এই বাক্য শ্রবণ করিয়া কহিলেন, সৎপরামর্শ করিয়াছেন ; আদ্য আমরা বাসায় গমন করি, কল্য অসিয়া নিবেদন করিব । পর দিবস পণ্ডিতেরা আগমন পূৰ্ব্বক রাজাকে আশীৰ্ব্বচন প্রয়োগ করিয়া সকলে সভায় বসিলেন;