পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ৩৭ নবাবের কৃপা ছিল । কিন্তু নওয়ব সাহেবের পুত্র ছিল না, একটি মাত্র কন্যা; কন্যার প্রতি নওয়াবের অতিশয় স্নেহ। কিছুকাল পরে নওয়াব সাহেবের এক দৌহিত্র জন্মিল, তাহীর নাম রাখিলেন সেরাজদ্দৌলা । নওয়াব সাহেবের বাসনা যে দৌহিত্র সবর্বদাই নিকটে থাকে, এইরূপে কিছুকাল যায়, সেরাজদৌল বড় দুরক্ত হইলেন, যাহা মনে আইসে তাহাই করেন, কেহ বারণ করিতে পারে না । নওয়ব সাহেবের পাত্র মহারাজ মহেন্দ্র এবং প্রধান ২ কৰ্ম্মচারিরা সকলেই ঐক্য হইয় নওয়াব সাহেবকে নিবেদন করিলেন, সেরাজদৌল অতিশয় দৌরাত্বা করিতেছেন, আপনি ইহার কোন উপায় করুন । কিঞ্চিৎকাল পরে নওয়াব সাহেব সেরাজদেীলকে ডাকাইয়া কহিলেন ; তুমি যাবতীয় লোকের উপর দৌরাত্ম্য কর এ অতি মন্দ কৰ্ম্ম, সাবধান হও কদাচ একপ অসৎ কৰ্ম্ম করিও না, রাজ কুলে এরূপ অন্যায়াচার অতি বিরুদ্ধ; এইরূপ শাসন করাতে সেরাজদৌল প্রধান পত্রদিগকে ডাকিয়া দমন করিলেন, আমি যে কাৰ্য্য করি তাহ যদি নওয়াব সাহেবের কর্ণগোচর হয়, তবে তোমারদিগের উচিত দণ্ড করিব এবং একথা নওয়াব সাহেবের নিকট তোমরাই কহিয়াছ, যদি আমার নবাবি হয় তবে ইহার উচিত প্রতিফল দিব । প্রধান প্রধান ভূতের মহাশঙ্কা পাইয়া নীরব রছিলেন, অনন্তর यू