পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৪ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিভ । নমস্কার করিয়া বিদায় হইয়৷ স্বস্থানে গেলেন । পরে রজনীযোগে রাজবাটীতে আসিয়া দৃভদ্বারা মহারাজ মহেন্দ্রকে সম্বাদ দেওয়াইলেন, মহারাজ মহেন্দ্র শ্রবণ করিলেন, কালীপ্রসাদ সিংহ আসিয়াছেন, আর আর যত মনুষ্য নিকটে ছিল, তাহাদিগকে কহিলেন, আদ্য তোমরা স্বস্থানে প্রস্থান কর, আমার কিঞ্চিৎ বিশেষ কৰ্ম্ম আছে । যাহারা সভায় ছিলেন, তাহারা সকলে বিদায় হইয় গেলে পর কালীপ্রসাদ সিংহকে আনিতে অনুমতি দিলেন। কালীপ্রসাদ সিংহ আসিয়া নমস্কার পূর্বক নিকটে বসিয়া নিবেদন করিলেন, কি জন্য রাজকে আসিতে অনুমতি হইয়াছিল । মহারাজ মহেন্দ্র উত্তর করিলেন, অামাদিগের দেশাধিকারির অাচরণ সমস্তই শুনিতেছ, এ নবাব থাকিলে কাহারো জাতি প্রাণ থাকিবে না, তোমার রাজা অতিবিজ্ঞ এবং নানা শাস্ত্রে পণ্ডিত ও বুদ্ধিমান ; অতএব উাহীর সহিত পরামর্শ করিয়| এই অত্যাচার নিবারণের সদুপায় চেষ্টা কর। কৰ্ত্তব্য;এই বাক্য শ্রবণ করিয়া কালীপ্রসাদ সিংহ করপুটে নিবেদন করিলেন মহারাজ ! যাহা অজ্ঞা করিলেন সকলি যথার্থ ; কিন্তু প্রজাপালক অতিদ্ভৱ ভ, সাবধানে এ সকল পরামর্শ করবেন ; আমার মহারাজাও সৰ্ব্বদা এই চিন্তাতেই চিন্তিত আছেন ; অতএব নিবেদন করি যদি আপনাদিগের সকলে ঐক্য হইয়া থাকেন