পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ৫৩ বিরহিত, রণনিপূণ, প্রজ প্রেমিক, বিচিত্র ক্ষমতাশালী, বৃহস্পতি তুল্য বুদ্ধিমান, কুবের সদৃশ ধনী, পরম ধাৰ্ম্মিক, অৰ্জ্জুন সদৃশ পরাক্রমী, যুধিষ্ঠির তুল্য প্রজাপালক,সকলেই এক বাক্য, শিষ্টপালনে ও দুষ্টদমনে তৎপর ; অধিক কি ? যে সমস্ত আসাধারণ গুণে বিভূষিত থাকিলে মনুষ্য মানব জাতি মধ্যে প্রাধান্য লাভ করিতে পারে, রাজা দিগের গুণ বলিয়া যাহা ব্যাখ্যাত হয়, সে সকল গুণই উাহাদিগের আছে; অতএব উাহার। দেশাধিকারী হইলে সকলের নিস্তার, নতুবা যবনে সকল নষ্ট করিবে । জগৎসেট কহিলেন, র্তাহারা উত্তম বটে, আমি জ্ঞাত আছি, কিন্তু ভঁাহাদিগের বাক্য আমরা বুঝিতে পারি না, আমাদিগের বাক্যও তাহার। বুঝিতে পারেন না। পরে রাজt কৃষ্ণচন্দ্র রায় কহিলেন, এখন তাহার কলিকাতায় কুঠা করিয়া বাণিজ্য করিতেছেন, সেই কলিকাতার দক্ষিণে কালীঘাট; তত্ৰস্থ কালীপ্রতিমা পুজার্থ আমি মধ্যে মধ্যে তথায় গিয়া থাকি; সেই কালে ঐ কুঠীর বড় সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ হইয়া থাকে, ইহাতে র্তাহার চরিত্র সমস্তই আমি জ্ঞাত আছি । রাজা রামনারায়ণ কহিলেন, আপনি বলিলেন, কলিকাতায় বড় সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করেন, কিন্তু তাহার বাক্য আপনি কি প্রকারে বুঝেন,এবং আপনকার কথাই বা ভিনি