পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৮ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ঘদি এ বিষয়ে অন্য কথা কহ, তবে তাহার উচিঙ দও করিব ; সকলেই এতচ্ছ বণে নিঃশব্দ রহিলেন। যে যে স্থানে ইংরাজদিগের কুঠী ছিল, তত্ৰত কৰ্ম্ম চারিদিগের প্রতি আজ্ঞা লিপি প্রেরিত হইল, ইংরাজ লোকেরা যে বাণিজ্য করিতেছেন, র্তাহার দিগের করের যে নিয়ম ছিল, অদ্যাবধি তাহ অপেক্ষ। অধিক লইবে । এই সমাচার পাইয়া নবাবের কৰ্ম্মচারি লোকের কুঠীর কৰ্ম্মচারিদিগের স্থানে অধিক রাজকর লইতে উদ্যত হইল, ইংরাজদিগের কৰ্ম্মচারিগণ কলিকাভার কুঠীর বড় সাহেবকে বিস্তারিত সমাচার লিখিলেন । সাহেব ঐ সকল পত্র পাইয়া সম্বাদ জ্ঞাত হইলেন। এদিকে নবাব সাহেব রাজ রাজবল্লভের উপর কোন কাৰ্য্যবশতঃ ক্রোধান্বিত হইলেন, কিন্তু স্পষ্ট রাগ প্রকাশ করিলেন না । রাজা রাজবল্লভ আপন পুত্র কৃষ্ণদাসের সহিত গোপনে বিবেচনা করিলেন যে, নবাব সাহেব আমাদিগের উপর কুপিত হইয়াছেন, অতএব যদি আমরা এখানে থাকি, তাহা হইলে জাতি প্রাণ ও ধন সকলই বিনষ্ট হইবে ; অতএব এই সময় সপরিবারে পলায়ন করি। রাজা কৃষ্ণদাস কহিলেন সত্য বটে এ নবাবের নিকটে থাকিলে কোনমতে নিস্তার নাই, কিন্তু পলাইয়াই বা কোথায় যাইব ; সকল দেশই নবাবের অধিকার । রাজা রাজবল্লভ ক