পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত্ত । ৮৭ জয়ী হইলাম, তোমার যাহাতে ভাল হয় তাহ। আমি সৰ্ব্বদা করিব । মহারাজকে অনেক প্রিয় বাক্য কহিয়| সে দিবস বাসায় বিদায় করিলেন । পর দিবস রাজাকে বহুবিধ রাজপ্রসাদ দিয়া যথেষ্ট সম্মান করিলেন, আর পূৰ্ব্বের যে রাজকর রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় দিতেন, তাহা অপেক্ষ পাচ লক্ষ স্থান করিয়া ছয় লক্ষ টাকা রাজকর নিয়ম করিয়া দিলেন, ও রাজার মুখ্যাতি বিলাত পৰ্য্যন্ত লিখিয়া মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে বিদায় করিলেন । রাজা, বড় সাহেবের প্রসাদ প্রাপ্ত হইয়া ও রাজ্যের প্রতুঠা করিয়া এবং যেখানকার যে সমাচার হইবে তাহা বড় সাহেবকে নিবেদন করিবার নিমিত্তে সৰ্ব্বাংশে ভাল এক ব্যক্তিকে তাহার নিকটে রাখিয় আপনি রাজধানীতে গমন করলেন । পুৰ্ব্বে রাজা কুষ্ণচন্দ্র রায়ের যে নাম ব্রাহ্মণের দিয়ছিলেন, বড় সাহেবও সেই নাম প্রচার বরাইলেন, যাবতীয় মনুষ্য পত্রদিভে লিখিতে লাগিল, অগ্নিহোত্রী বাজপেয়ী শ্ৰীমন্মহারাজরাজেন্দ্র কৃষ্ণচন্দ্র রায় বাহাদুর ; এই রূপে সৰ্ব্বত্রই মহারাজার মুখ্যাত হইল । মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় বাহাদুর দুই সংসার করেন ; দুই রাণীতে রাজার ছয় পুত্র হয়, শিবচন্দ্র, tভরবচন্দ্র, মহেশচন্দ্র, হরচন্দ্র ও ঈশানচন্দ্র প্রথমার, এবং শম্ভ চন্দ্র দ্বিতীয়ার গৰ্ত্তে জন্ম গ্রহণ করেন । র্তাহীদের মধ্যে শিবচন্দ্র সৰ্ব্বজ্যেষ্ঠ ছিলেন।