পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহা প্রয়াণ So S হয় যে ধরণীর অনাচার, অবিচার ও কৃতজ্ঞতায় তাহার পরমাত্মা স্বস্থানে চলিয়া যাইবার জন্য আকুল হইয়া উঠিয়াছিল। এই মর্ত্যের বিষাক্ত বাতাসে যেন তাহার দম বন্ধ হইয়া আসিতেছিল । বৈকুণ্ঠপতি বিষ্ণু যেন তাহার অলক্ষিত স্নেহহাস্ত দিয়া র্তাহার এই ভক্তশ্রেষ্ঠকে ধীরে ধীরে আপনার চরণতলে আহবান করিতেছিলেন । এ আকর্ষণ বড় তীব্র আকর্ষণ— মানুষের চেষ্টা এখানে ব্যর্থ, শক্তিহীন । বিগত ১২ই নভেম্বর রাত্রি ১টা ২৩ মিনিটের সময় যখন মহারাজার রুগ্ন শয্যার পাশ্বে বসিয়া কলিকাতা মহানগরীর শ্রেষ্ঠ শ্রেষ্ঠ ধন্বন্তরীকল্প চিকিৎসকগণ মহারাজার জীবন রক্ষার উপায় নিৰ্দ্ধারণ করিতেছিলেন তখন কোথায় বিষাদ মেঘাচ্ছন্ন কোন অন্ধকার আকাশের অন্ধকারের অন্তরালে কুটীলা নিয়তি একটুখানি মৃদু হাস্তের বিজলী চমকাইয়া তুলিলেন—সমবেত চিকিৎসক, আত্মীয় স্বজন, স্ত্রী পুত্ৰ সকলের ব্যাকুল চেষ্টাকে তীব্র ব্যঙ্গ করিয়া মহারাজার পুণ্য আত্মা বিদেহ মুক্তিলাভ করতঃ বৈকুণ্ঠে শঙ্খচক্ৰগদাপদ্মধারী নারায়ণ,’ ‘ধূত হিরন্ময়বপু পদ্মাসন শ্ৰীবিষ্ণুর শু্যাম সুশীতল চরণ ছায়ার তলে চলিয়া গেলেন । বাংলার পক্ষে এদিন কি ফুৰ্দ্দৈবের দিন । বাংলার বুকের নিধি, বাঙ্গালীর মাথার মণি, ভারতের গৌরব কোহিনুর ভারত ছাড়িয়া বাংলা ছাড়িয়া, বাংলার অগণিত কাণ্ডালকে আরও কাঙাল করিয়া বাংলার বুকে অশ্রুর বন্যা বহাইয়া দিয়া