পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ३ মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী সযত্নে সম্পন্ন করিতেন এবং হিন্দুর আচার ও ব্যবহারের প্রতি র্তাহার শ্রদ্ধা ছিল। সেই জন্যই তিনি বিদেশী ও ভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বী শাসক সম্প্রদায়ের স্থই ব্যবস্থাপক সভার আইনের দ্বারা সমাজ-সংস্কারের বিরোধী ছিলেন । সেজন্ত যে মুষ্টিমেয় লোক তাহাকে সঙ্কীর্ণতার অপবাদ দিয়াছে, তাহারা আপনাদিগের কুসংস্কারে অন্ধ হইয়া তাহার কাৰ্য্যের স্বরূপ দেখিতে পায় -নাই । তাহারা ভুলিয়া গিয়াছিল, তাহারই অর্থে বহু বাঙ্গালী যুবক দর্শন, বিজ্ঞান ও শিল্প শিখিবার জন্ত বিলাতে, জাৰ্ম্মীণীতে, জাপানে গিয়াছিল । তাহার সাহায্যে কোন বাঙ্গালী সঙ্গীতজ্ঞ বিদেশে সঙ্গীতচর্চার জঙ্কও গমন করিয়াছিলেন। অনেকে হয় ত জানেন না, এ দেশে যেমন ভীযুক্ত রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায় ও যোগীন্দ্রনাথ সমাদার প্রভূতি র্তাহার অর্থ সাহায্যে সাহিত্যিক কার্য্য করিয়াছিলেন, বিদেশে তেমনই ডাক্তার সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত ও ডাক্তার নলিনাক্ষ সান্তাল তাহারই অর্থসাহায্য লাভ করিয়াছিলেন । এ দেশে সমাজপতিরাই লোকমত লইয়া সমাজসংস্কার করিয়া আসিয়াছেন । মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র সেই মতাবলম্বী ছিলেন । সেও তীস্থার জাতীয়তার পরিচায়ক । তিনি জানিতেন, জাতি যখন শিক্ষিত হয়, তখন অবিশ্বক সংস্কার স্বতঃই সংসাধিত হয় । তিনি জাতীকে শিক্ষিত করিবার কার্য্যে আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন ; সেজন্ত তিনি যে ত্যাগ স্বীকার করিয়া গিয়াছেন, তাহার তুলনা কেবল বঙ্গদেশে—কেবল ভারতবর্ষে কেন—ষে কোন দেশে বিরল। শিক্ষা যাহাতে জাতীয় ভাবখারার বিরোধী না হয়, সেই জন্ত তিনি জাতীয় পরিষদের পুষ্টিকল্পে দান করিয়াছিলেন ; আর সেই জন্তই তিনি স্বয়ং ছাত্রদিগের জন্ত ব্ৰহ্মচৰ্য্য প্রয়োজন বলিয়া বিবেচনা করিতেন । তিনি যে তাহার সম্পত্তি গুণসরূপে ব্যবহার করিতেন, সে কথা আমরা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি। তিনি তাছার আড়ম্বরহীন, বিলাসবর্জিত জীবন