পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিদ্বারের পথে । [ ঐসাবিত্রীপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায় ] রাত্রি ১১টার সময় মহারাজকুমার টেলিফোন করিলেন—“তুমি মহারাজার সঙ্গে হরিদ্বারে যেতে পারবে ? তিনি জটিল ও বেণীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন—তুমিও যদি সঙ্গে যাও অনেক বিষয় আমি নিশ্চিন্তু হতে পারব। তোমার কোন ভয় নাই, হেমন্তদাও (হেমন্তদাও আজ এই সংসারে নাই, হরিদ্বার যাত্রার সঙ্গী, বয়সে বড় হ'লেও আহারে বিহারে সঙ্গী স্নেহময় হেমন্তদা, আজ নাই । ) সঙ্গে যাবেন। বাবার ইচ্ছা তুমি সঙ্গে যাও।” মাস দুয়েক হ’ল বহরমপুর থেকে চলে এসেছি, Nervous অমুখ নিয়ে মনের কোনে একটু দ্বিধাও জাগল—নিজের অসুস্থত, পাছে বা আর সকলকে বিব্রত করি, কিন্তু “মহারাজের ইচ্ছা”—তার বাড়া ত আর কথা নাই। তাছাড়া সুদূর যাত্রার প্রলোভনটাও কম নয়। তৎক্ষণাৎ সন্মতি দিলাম প্রস্তুত—“কাল সকালে মহারাজার সহিত দেখা করব।” সকালে মহারাজার সহিত দেখা করতে যেতেই—হাসিমুখে বললেন,— “কি গো প্রস্তুভ? ”—আমি বললাম, ‘হ্যা’-মহারাজা বললেন—“হ্যা নয় —তfহ’লে প্রস্তুত হয়ে এখানে ৩টার সময় এসো।” ৩টায় এসে গাড়ী রিজার্ত করার জন্তই, আই, আর অফিসে অামি, গৌর আর সুরেশ বাবু ছুটলাম, কাৰ্য্য সিদ্ধি হ’ল—হাওড়া এসে পৌছান গেল, গাড়ী ছাড়ার প্রায় ১ এক ঘণ্টা আগে। দেখলাম— হেমন্তদা জিনিষপত্র গুছিয়ে নিয়ে দাড়িয়ে আছেন। খানিকপরে মহারাজা এসে গাড়ীতে উঠলেন—সঙ্গে মহারাজকুমার। যতক্ষণ গাড়ী না ছাড়ল— মহারাজকুমারকে কাছে বসিয়ে অনেক কথাবার্তা হ’ল আমরা তখন