পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^b* মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী করলেন মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র। খাওয়ার সময় দেখা চাইই—এটা দাও ওটা দাও, কার ভাগে কতটা পড়ল—ময় চাকর বাকর পর্য্যস্ত কে কি থেতে পেল না পেল সে খোজও তিনি ট্রেণে বসেও করতেন। খাওয়া সম্বন্ধে আমার স্বল্পতা এবং বাছগোছের জন্য তিনি মৃদু হাস্তে কতই না অঙ্গুযোগ করতেন। “তোমাদের বয়সে আমরা কি রকম খেতুম জান ?— এই বয়সেই বুড়ো হয়ে গেলে—করবে কি হে ?” ইত্যাদি । বৃন্দাবনে এসে গাড়ী থামল—তখন বেলা ৯। ১০টা হ’বে। মহারাজার “পুলিন কুঞ্জের” কৰ্ম্মকৰ্ত্তাগণ ষ্টেশনে আমাদের অভ্যর্থনার জন্ত উপস্থিত ছিলেন। আমরা নামতেই জয়ধ্বনি করে ফুলের মালা গলায় দিয়ে। আমাদের মোটরে তুলে দিলেন। প্রথম মোটরে—মাঝে মহারাজা দু’পাশে আমি ও হেমন্তদা। হেমন্তদার সবই দেখলাম পরিচিত, শুনলাম। ক’বার তিনি এসেছেন। ষ্টেশন ছাড়িয়েই মহারাজার বৃন্দাবন বর্ণনা আরম্ভ হ’ল । কংসের রাজধানী, কারাগার এমনি কত কি স্থান তিনি অঙ্গুলি নির্দেশে আমাকে দেখাতে লাগলেন। দীর্ঘ রেলপথের কষ্ট তাকে এতটুকুও কাতর করতে পারেনি। উৎসাহ ও আনন্দের ভাব তার দু'চোখে ভেসে উঠতে লাগল। : একটা বিশেষ কথা বলতে ভুলে গেছি। তীর্থ যাত্রা করবার অব্যবহিত পূৰ্ব্বেই মহারাজার Facial Paralysis এর মত হয় । যে অবস্থায় মাকুষ চিকিৎসাধীন থেকে বিশ্রাম করে -কৰ্ম্মবীর মণীন্দ্র চন্দ্র সে সময় আত্মীয় বন্ধুর সনিৰ্ব্বন্ধ অমুরোধ উপেক্ষা করে কুম্ভমেলায় স্বানের জন্ত তীর্থ যাত্রী সেজে বসলেন। র্তার এই অবস্থায় বিদেশ যাত্রা–তাই মহারাজ কুমার ও আমার বিশেষ ইচ্ছা ছিল সঙ্গে একজন ডাক্তার যায়, সেকথা তার কাছে উত্থাপন করতেই তিনি মৃদু হাস্ত করেছিলেন মাত্র ট তারপর আর কথা কইতে কারে সাহস হয়নি।