পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भङ्ख्नोखो जुन्न भोजकञ नर्नी · VO:) প্রকাশ্বে ও গোপনে এই দানের পরিমাণ দুই কোটীর বড় বেশী न्न नप्श् । উপযুক্ত পরিমাণ শিক্ষা ব্যতীত যে এই অধঃপতিত জাতির পুনরভূখানের দ্বিতীয় পন্থা নাই, এই মহাসত্যটা তিনি মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে উপলব্ধি করিয়াছিলেন এবং তাঁহা জীবনে নিমিষের জন্ত বিস্মৃত হন নাই । তাই সমগ্র দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রসারের জন্ত সেই অকৃত্রিম দেশপ্রেমিকের এই অসামান্ত দান, এত প্রচেষ্টা, এত উৎকণ্ঠ । বঙ্কিমচন্দ্রের প্রাণম্পর্শী সখেদোক্তি –“বাঙ্গালার ইতিহাস নাই” যেন মূৰ্ত্ত হইয়া তাঙ্কার কর্ণে ঘুরিরা ফিরিয়া প্রতিধ্বনি করিয়া যাইত, লজ্জায় তিনি অধোবদন হইভেন। তাঙ্গর ও র্তাহীর জাতির –হিন্দুমুসলমান সংগঠিত বাঙ্গালী জাতির এই লজ্জা অপনোদনের জন্য তিনি বহুব্যয়ে প্রাচীন মুদ্রা, প্রাচীন হস্তলিখিত পুথি, প্রাচীন চিত্রাবলী প্রভৃতি ইতিহাসের উপকরণগুলি দেশ বিদেশ হইতে সংগ্ৰহ করিতেন, এবং তাহার কিছু কিছু বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ প্রভৃতি জাতীয় প্রতিষ্ঠানে সদ্ব্যবহারের আশায় সমর্পণ করিয়া গিয়াছেন । বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের প্রথম প্রাদেশিক সম্মিলনের পুণ্যোৎসব তাঙ্কারই যত্নে কাশিম বাজারে তাঁহারই প্রাঙ্গণে তিনি সুসম্পন্ন করিয়াছিলেন, এবং সেই পরমোৎসৱ যাহতে প্রতি বৎসর বিভিন্ন স্থানে সমাধা হয়, যাহাতে বাঙ্গালার সারস্বত কুঞ্জের একনিষ্ঠ সাধকগণ বৎসরে বৎসরে একত্র মিলিত হইয়া পরম্পরে ভাবের অtদান প্রদান করিতে পারেন, তাহার জন্ত আন্তরিক প্রার্থনা জানাইয়া বঙ্গবাসীমাত্রেরই অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাজন হইয়াছিলেন । বঙ্গীয় সাহিত্যপরিষদের পবিত্র মন্দির, সেও ত বঙ্গভাষার একান্ত অস্থরক্ত সেবক মণীন্দ্রচন্দ্রেরই প্রদত্ত “ভূমিতে দণ্ডায়মান, তাহারই অর্থে পুষ্ট। নিজের জ্ঞান পিপাসাও তাছার বড় একটা কম ছিল না, তাহার পারিবারিক বিরাট গ্রন্থাগার হইতে