পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

28 е भङ्गंब्रांछ शुद्र भवैौटन्छटा ननौ # অবসর পাইলেই পুস্তক বিশেষতঃ ধৰ্ম্মপুস্তক লইয়া অধ্যয়ন করিতে করিতে তন্ময় হইয়া পড়িতেন । কিন্তু দানই তাহার জীবনের সর্বাপেক্ষ বড় বৈশিষ্ট্য ছিল। দেখিয়াছি দান করিয়া তিনি একটা তৃপ্তি পাইতেন, একটা আনন্দ অনুভব করিতেন। সে তৃপ্তির, সে আনন্দের স্বরূপ বুঝাইবার সাধ্য নাই, কিন্তু তাহার একটা পরিস্ফুট ছায়া যখন চোখে মুখে ভাসিয়া উঠিত, তখন বুঝিতাম এ আননে কৃত্রিমতার লেশ মাত্র নাই, এ এক শুভ্র আনন্দ, অনাবিল, অপার্থিব আনন্দ, যাহা যিনি হিসাব করিয়া দান করেন না, । বিচার করিয়া দান করেন না, যে দাতা দানের সময় জাতি, ধৰ্ম্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়, বয়স প্রভৃতির কোনই প্রশ্নই উত্থাপন করেন না—তিনি ভিন্ন সংসারে অপর কাহারও উপলব্ধি করিবার শক্তি নাই। প্রার্থী, বাচক, অথচ মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্রের দ্বারে প্রত্যাখ্যাত এরূপ লোক আছে কিনা জানি না, থাকিলেও অতি বিরল। কাঙ্গালী ভোজন করাইতে র্তাহার যে কি অপরিসীম আগ্রহ ছিল, তাহা বর্ণনাতীত। মনে পড়ে, ১৩০৭ সালে জ্যেষ্ঠপুত্র মহিমচন্দ্রের বিবাহোপলক্ষে কাঙ্গালী ভোজনের ; সময় তাহার স্বহস্তে সংখ্যাতীত কাঙ্গালিগণকে পরিবেশনের কথা ; ঘণ্টার পর ঘণ্টা বেলার পর বেল পরিবেশন করিয়া যাইতেছেন—বিরাম নাই, বিশ্রাম নাই, ক্লাস্তি নাই, বিরক্তি নাই, কাপণ্য নাই,—দেখিয়া বিদেশাগত নিমন্ত্রিত ধনী সম্প্রদায় অতীব বিস্ময়ে অভিভূত হইয়া গিয়াছিলেন। মনে পড়ে, ১৩১১ সালে তাহার মাতামহী রাণী হরমুন্দরীর দানসাগর শ্রাদ্ধ। নুনাধিক ষাট হাজার কাঙ্গালীর সমাবেশের কথা ; মেদিনীপুর, বাকুড়া, বীরভূম, সাঁওতাল পরগণা, নদীয় মালদহ রাজসাহী, প্রভৃতি দূরদেশ হইতে কাতারে কাতারে কাঙ্গালী আসিতেই লাগিল, এবং আসিয়া প্রত্যেকে ।