পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নদী 82° কৃষিকার্য্যের উন্নতির জন্ত তিনি বহরমপুরের বাঞ্জেটিয়া নামক স্থানে শিল্প-প্রদর্শনীর বৃহৎ অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন । 轟 র্তাহার বৃহৎ জমিদারীর মধ্যে উচ্চ ও নিম্নশ্রেণীর বহু বিদ্যালয় তিনি প্রতিষ্ঠা করিয়া গিয়াছেন। তিনি এমন বিদ্যাকুরাগী ছিলেন যে তাহার জমিদারীর বাহিরে যে কেহ তাহাকে বিদ্যালয়ের পারিভোষিক বিতরণ সভায় নিমন্ত্রণ করিত, তিনি আনন্দের সহিত তথায় গমন করিতেন এবং অর্থ দান করিয়া অভ্যাসিতেন । তিনি যে কত সহস্র দরিদ্রের মা বাপ ছিলেন তাহা নির্ণয় করা দুঃসাধ্য, দরিত্রের আজ যথার্থই পিতৃমাতৃহীন হইল। তিনি যথার্থই বিশ্বজিং যজ্ঞ করিয়াছিলেন। দান করিতে করিতে র্তাহার কুবেরের ভাণ্ডীর নিঃশেষ হইয়াছিল। কেবল কুবেরের ভাণ্ডার নিঃশেষ করেন নাই, বহু লক্ষ টাকা ঋণ গ্রস্ত হইয়াছিলেন। এই ঋণ শোধের জন্ত গিলাগুীর আরবুর্থনট কোম্পানীর হস্তে জমিদারীর ভার অর্পণ করিতে হইয়tছিল । অবশেষে কোর্ট-অব-ওরার্ডসের হস্তে র্তাহার বিস্তীর্ণ জমিদারী সমর্পণ করিতে বাধ্য হন। ইহাতে তাহার মনে এই সাস্তুনা ছিল যে জন্মভূমিকে নিম্নস্তর হইতে উচ্চতর স্তরে লইয়া যাইবার এবং লোকের দুঃখ দূর করিবার জন্ত তিনি ঋণগ্রস্ত হইয়াছেন এবং সেই জন্যই পরের হস্তে জমিদারীর ভার । অপণ করিয়াছেন । কলিকাতার দরিদ্র রোগীগণ বিনা চিকিৎসায় অনেক সময় মারা যায় । মহারাজা “গোবিন্দ স্বন্দরী আয়ুৰ্ব্বেদ চিকিৎসাভবন” স্থাপন করিয়া বিশুদ্ধ কবিরাজী ঔষধ দানের স্বব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন। বহরমপুর কলেজ আগে গবর্ণমেণ্ট কলেজ ছিল। গবর্ণমেন্ট যখন উহা উঠাইরা দিবার চেষ্টা করেন তখন মহারাণী স্বর্ণময়ী উহার ভার গ্রহণ করেন এবং অবশেষে মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্ৰ নদী উছার জন্ত বহু লক্ষ টাকা so بیبیسی -