পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাল্য ও কৈশোর > ○ মানুষের মধ্যে সম্পূর্ণ উদ্ধ ন্ধ না করিয়া যায় না। অন্ধকার অসহ্য হইলেই লোকের আলোকের কথা মনে পড়ে। দুঃখের যন্ত্রনা যখন মানুষের সহ্যের সীমা অতিক্রম করিয়া যায় তখন মানুষ মুখের অভাব অনুভব করে—এবং বোধ হয় সেই সময়ই দুঃখের দিন ফুরাইয়া যাইবার একটা মেয়াদ । মণীন্দ্রচন্দ্রের দুঃখের অবসান ঘটিবার সময় হইয়া আসিয়াছিল, কারণ এই সময় তিনি জীবনে সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক দুঃখ ভোগ করিতেছিলেন । একস্থানে ভোজন, একস্থানে শয়ন—ইহাপেক্ষ মানব জীবনে আর কি দুঃখ হইতে পারে । নিয়তি র্তাহার জীবনের কুলে দাড়াইয়া হাস্য করিতেছিলেন বটে কিন্তু বিশ্বনিয়ন্ত তখন র্তাহার অদৃষ্টসূত্র তাহার জগতে নবীন উষার অরুণ কিরণ সম্পাত হইবার দিন ধীরে ধীরে ঘনাইয়া আসিতেছিল ।