পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*や মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র সুচারুভাবে আলোচনা করিলে স্পষ্টই বুঝিতে পারা যায় । এমন দিন তাহার যৌবনে গিয়াছে যে তিনি আর কোনকালে জীবনে সুখ সৌভাগ্য ভোগ করিতে পারিবেন কিনা সে সম্বন্ধে সন্দেহ হইত। এই চরম তুর্দশার কালে যাহারা মহারাজের সহিত সহানুভূতিসম্পন্ন সদয় ব্যবহার করিয়াছেন তাহাদের কথা মহারাজ ইহ জীবনে কখনও ভুলিতে পারেন নাই। নিজের স্বার্থ তিনি কোন দিনই লক্ষ্য করিতেন না বটে কিন্তু যে স্থলে নিজের সামান্য স্বার্থ রক্ষা করা প্রয়োজন, তাহার অতীত দরিদ্র জীবনের সহানুভূতিশীল বন্ধুজনের ও উপকারীগণের আবশ্বকে তিনি সেই সামান্য স্বার্থ টুকুও অমানবদনে পরিত্যাগ করিয়াছেন। ইহাই মহাপুরুষের লক্ষণ । যে স্বার্থটুকু রক্ষা করিলে নিজের কল্যাণ হয় অথচ পরের কোন অনিষ্টই হয় না অপরের কল্যাণের নিমিত্ত তিনি নি:স্বার্থ ও নিষ্কাম ভাবে নিজের এই লাভচুকু অর্জন করিতেও পরামুখ ছিলেন। জগতের প্রায় সকল মহত্ত্বেরই তুলনা পাওয়া যায় কিন্তু এরূপ মহানুভবতার তুলনা বর্তমান শতাব্দীতে নিতান্ত বিরল বলিলে সত্যের অপলাপ করা হয় না । o r সৌভাগ্য ও রাজ্যমুখ প্রাপ্তির পরও র্তাহার পূর্ব মনোভাবের কিছুমাত্র পরিবর্তন হয় নাই। অতুল ঐশ্বৰ্য্য যেন তাহার নিকট স্রোতের তৃণের ন্যায় ভাসিয়া আসিয়াছিল, মনের উপর সত্যকারের কোন প্রভাবই বিস্তার করিতে পারে নাই। মহারাজা হইবার পর কলিকাতা হইতে তাহার কতিপয়