পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র سOb\ অবস্থাতে ; আর যে ব্যক্তি স্বদেশ ও স্বধৰ্ম্ম-রূপিণী মাতৃকার পবিত্র ক্রোড়ে আজীবন শিশুর মত সরল ও স্বচ্ছন্দ মনে কৰ্ম্ম-ক্রীড়ায় রত ছিলেন, অদম্য উৎসাহে কোন বাধা বিঘ্ন না মানিয়া নিজ শতোমূখীন কৰ্ম্ম ও ধৰ্ম্মজীবনকে সমভাবে চালাইয়া গিয়াছেন, বাৰ্দ্ধক্যের ছায়া তাহার জীবনে কখনও পড়িয়াছে বলিয়া মনে হয় নাই। এই অল্প কয়দিন পূৰ্ব্বে তিনি পরিষদের কার্য্যে যে উৎসাহ দেখাইয়া গিয়াছেন, কোনও যুবক সভ্যতে তাহ অপেক্ষ অধিক দেখা যায় নাই ; বোধ হয় সকল অনুষ্ঠানেই তিনি ঐরপ ছিলেন । “সংবাদপত্রে মহারাজের অশেষ গুণাবলী বিশেষতঃ র্তাহার দানশীলতা সম্বন্ধে অনেক কথার উল্লেখ হইতেছে ; তাহার কোনটারই অতিরঞ্জন হইতে পারে না—তিনি বাঙ্গলার জমিদারকুলের অগ্রণী ছিলেন, সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নতির সকল কার্য্যে উন্মুখ, অনেকগুলি প্রতিষ্ঠানের অধিনায়ক ছিলেন, সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিভাক ভাবে । দণ্ডায়মান হইতেন—বিগত—১৯০৫ অব্দের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের প্রথম প্রতিবাদ সভায় তিনিই অধ্যক্ষতা করিয়াছিলেন । শিক্ষা ও ধৰ্ম্মের প্রতি র্তাহার অনুরাগ অসাধারণ ছিল । র্তাহার অতুলনীয় দান প্রধানতঃ এই দুই কাৰ্য্যেই প্রযুক্ত হইয়াছিল—কত গ্রন্থকার ও বিদ্বান তাহার দ্বারা প্রতিপোষিত হইয়াছেন, কত বিবিধ প্রকারের বিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান তাহার ব্যয়ে সংস্থাপিত ও পরিচালিত হইয়াছে !