পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র বলিয়া থাকিব । তখন মহারাজার মহাপ্রাণতা ও সরল হৃদয়াগ্রহের যে পরিচয় পাওয়া যায়, তাহাতেই আমাদিগের উপস্থিত এই কৰ্ম্মক্ষেত্রে আবদ্ধ থাকিবার সূত্রপাত করিয়াছে— তিনি সভাপতির আসন হইতে ঝুকিয়া আসিয়া আমাদের পরিচয় গ্রহণ এবং শীঘ্ৰ যাহাতে র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করি, সাগ্রহে অনুরোধ করিলেন । তৎপর সভাপতির এক সুদীর্ঘ অভিভাষণে তিনি যত কথা বলিলেন—তাহাতে ভারতীয় সাধনার যে যে ভাব আমাদিগের অন্তরে জাগিতেছিল, তাহার সমস্ত গুলিতে এক অপূৰ্ব্ব রসসঞ্চার বোধ করিলাম ; পরিশেষে তিনি এই অভিপ্রায় জ্ঞাপন করিলেন, যে যদি এইরূপ কোনও কাজে বাঙ্গলাতে থাকিয়া যাই, তবে ভাল হয়। তখন এই কথার মৰ্ম্ম ভালরূপে ধরিতে পারি নাই । ঐ দিন সভার পরে মহারাজ অসুস্থ হন, পরদিন দেখা করিবার কথা ছিল ; অসুস্থ অবস্থায় দেখা হইবে না বলিয়া তিনি নিজে লোক পাঠাইয়া সে সংবাদ দেন। পূজার পূৰ্ব্বে তখন কতকদিনের জন্ত আমাদিগকে স্থানান্তরে যাইতে হইল। প্রস্তাবিত সাক্ষাৎকারলাভ হয় প্রায় তিন মাস পরে। ইতিমধ্যে শ্রদ্ধেয় শ্ৰীযুক্ত কুমারকৃষ্ণ দত্ত ও রাচি ব্রহ্মচৰ্য্য বিদ্যালয়ের আচাৰ্য্য শ্ৰীযুক্ত সত্যানন্দ গিরি প্রভৃতি মহাশয়গণের সহযোগে ভারতীয় সাধনামূলক শিক্ষা পরিষদের সংগঠনের উদ্যোগ হইতে থাকে। “প্রথম সূত্রপাত হইতেই ইহা স্থিরীকৃত হয় যে স্তর মহারাজা শ্রীযুক্ত মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী বাহাদুরের সভাপতিত্বে