পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

€98 মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র একবার কোন শিল্পভবনে কোন আকস্মিক দুর্ঘটনায় তাহার একটি আঙ্গুল পুড়িয়া যায়। তিনি তাহাতে কিছুমাত্র পশ্চাৎপদ না হইয়া তথায় তাহার আরদ্ধ কার্ষ্য শেষ করেন এবং আজীবন শিল্পগারে যাতায়াত ও তৎতং প্রতিষ্ঠানগুলিতে যাতায়াত করিতে থাকেন । র্তাহার এই শিল্প সাধনায় দেশবাসী কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ছলে কলিকাতা কংগ্রেসের সহিত প্রথম যে শিল্পপ্রদর্শনী হয় তাহার উদ্বোধন মহারাজার দ্বারা সম্পন্ন করাইয়া লন। বাংলা দেশের চরম দুভাগ্য যে এতাদৃশ মহাপুরুষ আজ আমাদিগকে কাদাইয়া দূরে—বহুদূরে চলিয়া গিয়াছেন । এই দারুণ অন্ন সমস্যার দিনে সহস্ৰ সহস্ৰ অন্নহীন বেকার ভদ্রসন্তানের জীবিকা অর্জনের উপায় নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দিয়া মহারাজা জাতির প্রকৃত কল্যাণ সাধন করিয়া গিয়াছেন । আমাদের দেশের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করিতে না পারিলে স্বরাজ বা স্বাধীনতা চিরদিন অলীক কল্পনা বা সুখের স্বপনের মতই থাকিয়া যাইবে । দেশের রাষ্ট্রনেতারা দেশের প্রকৃত মুক্তিকামী সন্দেহ নাই; কিন্তু তাহারা সাধারণের রাষ্ট্রগত অধিকার লইয়া যতটা মস্তিষ্কচালনা করিতেছেন, অন্নহীন জাতির অর্থনৈতিক সমস্যা লইয়া সেইরূপ মস্তিস্ক চালনা করিলে দেশের বিপুল কষ্ট দূরীভূত হইতে পারে । ক্ষুধার তাড়না, অভাবের নিপীড়ন, অস্তরের বেদনা ভিন্ন দুঃখী ভারতবাসীর আর ব্যক্তিগত