পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যানুরাগ جو)وا সম্পত্তি কিছুই নাই, কিসের অবলম্বনে এই বিত্তহার কাঙ্গালের দল আজ রাষ্ট্র সংগ্রামে টিকিয়া থাকিবে ? মহারাজা ইহা বুঝিতেন । জাতির এই মৰ্ম্মবেদন তাহার অন্তরকে চিরদিন সহানুভূতির আকুল ক্ৰন্দনে ভরাইয়া রাখিয়াছিল । তাই সংসারে অর্থের অনটন বা অন্ত কোন প্রকার বিসদৃশ বাধা বিপত্তি একদিনের তরেও র্তাহাকে সংস্কল্পচু্যত করিতে পারে নাই । পরের জন্ত নিজে কাণ্ডাল সাজিয়া বৈষ্ণবতার যে শ্রেষ্ঠ আদর্শ বৰ্ত্তমানযুগে তিনি রাখিয়া গিয়াছেন, তাহা যুগ যুগান্তর ধরিয়া মানবজাতির শ্রদ্ধার জিনিস হইয়া থাকিবে । বাংলার ইতিহাসে বাংলার এই “জনকের” নাম বাঙ্গালীর কাছে বিরাট গৰ্ব্ব ও মহিমায় উজ্জল হইয়া থাকিবে। বাংলা দেশের সমসাময়িক প্রায় যাবতীয় মঙ্গলকর আন্দোলন ও অনুষ্ঠানের সহিত মহারাজার আন্তরিক সহানুভূতি ও সংশ্রব ছিল । এক শ্রেণীর লোক আছেন তাহারা দেশের এবং অবস্থার গতি বিবেচনা করিয়া দেশের কার্য্যে যোগদান করেন এবং প্রতিকূল ঘটনা সংঘ টত হইবার পূর্বেই কাৰ্য্যক্ষেত্র হইতে সরিয়া দাড়ান । এইরূপ লোকের সংখ্যাই অধিক । ইহারা অত্যন্ত মুষোগবে এবং ঝোপ বুঝিয়া কোপ’ মারিয়া অত্যন্ত ফাকা ভিত্তির পর নিজেদের মুনামের সৌধ নিৰ্ম্মাণ করিবার চেষ্টা করেন । অবশ্য পরিণামে ইহাদের এই সুনামের সাধের প্রাসাদ ভাঙ্গি . পড়ে—র্তাহাদের ফঁাকা চালবাজী ধরা পড়িয়া যায়। মহ জ। এই শ্রেণীর লোককে (t