পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চরিত্রে বিশেষত্ব 9 S একটা কথা মনে হয় । রাম-বিরহিনী জানকী কবে একদিন প্রিয়তমের বিরহ-বেদনায় কাতর হইয়া ‘হা রাম’ ‘হা রাম’ বলিতে বলিতে বিপুল শোকাবেগে ধূল্যবলুষ্ঠিত হইয়া কাদিয়া ছিলেন, আজও তিনি তেমনি ভাবে আমাদের মধ্যে র্কাদিয়া থাকেন। যেখানে পরমপতিব্ৰতা সতীর তীব্র বিরহবেদন ও আকুল অশ্রুজল সেইখানেই বিরহবিধুরা সীতা । আজিও পতিবিরহিণী, ছঃখিনী, রোরুদ্যমান রমণীর বিষাদপাণ্ডুর মুখ দেখিলে আমাদের মনে হয়— ‘কোথায় সীতা, কোথায় সীতা জ্বলছে বুকে স্মৃতির চিতা’— - আর তখনই আমাদের অন্তর ভরিয়া ক্ৰন্দন জাগে—তখনই— অন্ধকারের অন্তরেতে অশ্রীবাদল ঝরে ? যেখানেই দয়া, মায়া ক্ষমা, প্রীতি অথবা ত্যাগ দেখা যায় সেখানেই মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্রের আমরস্কৃতি বিরাজ করিতেছে। দয়ার যিনি অবতার, ক্ষমার যিনি আধার, প্রীতিতে র্যাহার মহিমা ও ত্যাগে যাহার গৌরব প্রতিষ্ঠিত সেই মহাপুরুষের তিরোধান হয় নাই । তিনি মানবের হৃদয়-মন্দিরে অমর হইয়া বাচিয়া আছেন । যত দিন চন্দ্র সূৰ্য্য বিরাজ করিবে, যত দিন সপ্তদ্বীপা ধরণীতে জন্মমৃত্যুর লীলা-খেলা চলিবে, যত দিন দয়া, ধৰ্ম্ম, ক্ষমা প্রভূতির গৌরব থাকিবে ততদিন মহারাজা আমাদের থাকিবেন, তাহার স্মৃতি আমাদের একান্ত নিজস্ব হইয়া