পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br8 মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র যথারীতি বিচার প্রার্থনা করেন । এইরূপ গুরুতর ব্যাপারে যদি ন্যায় সঙ্গত বিচার এবং অপরাধীর শাস্তি না হয় তবে রাজসরকারের শৃঙ্খলা নষ্ট হইয়া যাওয়া সম্ভব। সুতরাং যথারীতি প্রমাণাদি গ্রহণ করিয়া মহারাজা উক্ত কৰ্ম্মচারীকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং পদচ্যত করেন । একদিন মহারাজা কাশিমবাজার রাজবাটীতে নিজের বৈঠকখানায় বসিয়া কোন কাজ করিতেছিলেন এমন সময় সেই কৰ্ম্মচারী ছুটিয়া আসিয়া কাদিতে কঁাদিতে মহারাজের পা জড়াইয়া ধরিয়া ক্ষমা প্রার্থনা পূর্বক চাকুরী প্রার্থনা করিতে লাগিল । করুণার্জ হৃদয় মহারাজা এই দরিদ্র অপরাধীর হৃদয়ভেদী আকুল ক্ৰন্দনে ব্যথিত হইয়া উঠিলেন । কিন্তু র্তাহার কঠোর কৰ্ত্তব্য বুদ্ধি সে অবস্থাতেও তাহাকে পরিত্যাগ করে নাই। এই বিপন্ন সহায়সম্পদহীন দরিদ্র কৰ্ম্মচারীর তুঃখে দয়ার্জ হইয়া তাহাকে দয়ার যোগ্য মনে করিলেও শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও আদর্শ নষ্ট করিয়া তাহাকে পুনরায় কাৰ্য্যে নিযুক্ত করা মহারাজ কৰ্ত্তব্য মনে করেন নাই। কিন্তু মহারাজের নিকট কিছু প্রার্থনা করিয়া কেহ কখনও ব্যর্থ মনোরথ হয় নাই। এই কৰ্ম্মচারীও ব্যর্থ মনোরথ হইল না । মহারাজ তাহাকে পুনরায় কার্ষ্যে নিযুক্ত করিলেন না বটে কিন্তু একটি মাসিক বৃত্তি নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দিয়া তাহার জীবনযাপনের পথ সুগম করিয়া দিলেন । г.