পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৮

মধ্যমের নাম গোবিন্দ কণিষ্ঠের নাম শ্রীকৃষ্ণ। ইহারদিগের মধ্যে গোপাল রায় সর্ব্ব শাস্ত্রে উত্তম পণ্ডিত। কতক কালানন্তরে রায় মজুমদার তিন পুত্রের বিবাহ দিলেন। কালক্রমে গোপাল রায়ের পুত্র হইল নাম রাখিলেন রাঘব রায়। ভবানন্দ রায় পৌত্র দর্শন করিয়া বিবেচনা করিলেন এ পৌত্র অতি প্রধান মনুষ্য হইবেক সর্ব্ব লক্ষণে লক্ষণাক্রান্ত। পৌত্রোৎসবে মহতী ঘটা করিয়া পশ্চাৎ ভ্রাতা সুবুদ্ধি রায় ও হরিভল্লব রায়কে কিঞ্চিৎ জমিদারি করিয়া দিয়া সংসার হইতে বিরত হইলেন। পরে গোপাল রায় সর্ব্বাধ্যক্ষ হইয়া কাল জাপন করেন। কিছু কাল পরে গোপাল রায় ভ্রাতা গোবিন্দ রায় ও ভ্রাতা শ্রীকৃষ্ণ রায়কে কিঞ্চিৎ জমিদারি দিয়া ঈশ্বর ভজন কারণ বিষয় ত্যাগী হইলেন। পরে রাঘব রায় সর্ব্ব শাস্ত্রে গুণবান অতি বড় দাতা সর্ব্বদা যাবদীয় প্রজার প্রতিপালনে মতিমান সর্ব্ব লক্ষণাক্রান্ত, দান ধ্যান যোগ সদালাপ বিশিষ্ট লোকের সমাদর রাজ্য সূদ্ধ সকল লোকের নিকট মহৎ সুখ্যাত্যাপন্ন জমিদারির বাহুল্য হইতে লাগিল। মনে ২ বিচার করিয়া স্থির করিলেন আমি রাজধানিতে গমন করিব। শুভ দিন স্থির করিয়া রাজধানিতে গমন করিলেন। সম্রাটের রাজার সাহিত সাক্ষাৎ করিয়া আত্মমানের গৌরব যথেষ্ট জন্মাইলেন। সম্রাটের রাজা রাঘব রায়ের সহিত আলাপ করিয়া দেখিলেন এ বড় মনুষ্য ইহাকে রাজা করি। পরে অনেক ভূমির কর্ত্তা করিয়া রাজপ্রসাদ দিয়া উপাধি