পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪১

নবাব সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করান আমি নবাবের গোচরে নিবেদন করিব আমার মহারাজার একবার শ্রীযুতের সহিত সাক্ষাৎ করিতে নিতান্ত বসনা এবং আর২ যে বিশেষ নিবেদন আছে তাহা সাক্ষাতে নিবেদন করেন এই রূপ কহিয়া নবাব সাহেবের মত করিয়া শেষে মহারাজ এখানে আইলে ভাল হয় মহাশয় কর্ত্তা ইহাতে যেমত আজ্ঞা করেন তাহাই করি। মহা রাজ মহেন্দ্র শুনিয়া কহিলেন উত্তম কহিয়াছ কল্য তোমাকে নবাব সাহেবের গোচরে লইয়া যাইব তুমি অতি প্রাতে প্রস্তুত হইয়া আমার নিকট আসিবা। কালীপ্রসাদ সিংহ নমস্কার করিয়া বাসায় বিদায় হইলেন।

 পরে কালীপ্রসাদ সিংহ ভেটের নানা জাতীয় আয়োজন করিলেন প্রাতে ভেটের সামিগ্রী লইয়া মহা রাজার বাটীতে উপস্থিত হইলেন। মহা রাজ মহেন্দ্রের চতুর্দোল প্রস্তুত হইল কিঞ্চিৎ পরে মহা রাজ মহেন্দ্র এবং কালীপ্রসাদ সিংহ নবাব সাহেবের দ্বারে উপস্থিত হইয়া অগ্রে মহারাজা মহেন্দ্র নবাবের গোচরে গেলেন যেমন নিয়ম আছে সেইমত নমস্কার করিয়া নবাব সাহেবের সভাতে ক্ষণেক বসিলেন পরে নবাব সাহেবকে নিবেদন করিলেন নবদ্বীপের রাজা আত্ম পাত্রকে প্রেরিত করিয়াছে এবং কিঞ্চিৎ ভেটের দ্রব্য পাঠাইয়াছে আজ্ঞা হইলেই নিকটে আইসে। নবাব সাহেব ক্ষণেক থাকিয়া কহিলেন আসিতে বল। এক জন ভৃত্য গিয়া কালীপ্রসাদ সিংহকে নবাব সাহেবের গোচরে আনিল।

F