পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৭৪

করিলেন। সাহেব সকলকে আশ্বাস করিয়া যিনি যে কর্ম্মে নিযুক্ত ছিলেন সেই২ কর্ম্মে তাহাকে নিযুক্ত করিয়া রাজপ্রাসাদ দিলেন। মীর জাফরালীকে নবাব করিয়া সকলকে আজ্ঞা করিলেন তোমরা সকলে সাবধান পূর্ব্বক রাজকর্ম্ম করিবা রাজ্যের প্রতুল হয় এবং প্রজা লোকে দুঃখ না পায়। সকলে আজ্ঞানুসারে কার্য্য করিতে লাগিলেন।

 পরে নবাব স্রাজেরদৌলা পলায়ন করিয়া যান তিন দিবস অভুক্ত অত্যন্ত ক্ষুধিত নদীর তটের নিকট এক ফকিরের আলয় দেখিয়া নৌকার কর্ণধারকে কহিলেন এই ফকিরের স্থান তুমি ফকিরকে বল কিঞ্চিৎ খাদ্য সামগ্রি দেও এক জন মনুষ্য বড় পীড়িত কিঞ্চিৎ আহার করিবেক। ফকির এই বাক্য শ্রবণ করিয়া নৌকার নিকট আসিয়া দেখিল অত্যন্ত নবাব স্রাজেরদৌলা বিসন্ন বদন। ফকির সকল বৃত্তান্ত জ্ঞাত হইয়াছে বিবেচনা করিল নবাব পলায়ন করিয়া যায় ইহাকে আমি ধরিয়া দিব আমাকে পূর্ব্বে যথেষ্ট নিগ্রহ করিয়াছিল তাহার শোধ লইব ইহাই মনো মধ্যে স্থির করিয়া করপুটে বলিল আহারের দ্রব্য আমি প্রস্তুত করি আপনারা সকলে ভোজন করিয়া প্রস্থান করুণ। ফকিরের প্রিয় বাক্যে নবাব অত্যন্ত তুষ্ট হইয়া ফকিরের বাটীতে গমন করিলেন। ফকির খাদ্য সামগ্রির আয়োজন করিতে লাগিল এবং নিকটে নবাব মীর জাফরালি খানের চাকর ছিল তাহাকে সম্বাদ দিল যে নবাব স্রাজেরদৌলা