এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
( ৯৩ ) যথাসময়ে হরিনাথ ও নিমন্ত্রিত বৈদ্যসন্তানগণ সভায় সমাসীন হইলে রামকান্ত নিম্নলিখিতরূপে সভা বর্ণনা করিলেন । সভা বিরিঞ্চের্মধুসূদনন্ত সেয়ং তৃতীয় শশিশেখরস্ত শক্রস্ত তুৰ্য। তব পঞ্চমীয়ং ষষ্ঠী ন গোষ্ঠীনরনাথ আস্তে। সভাবর্ণনা শেষ হইলে রাজা, “সমস্ত বৈদ্যসন্তানগণ আগমন করিয়াছেন কিনা” জিজ্ঞাসা করিলেন। প্রত্যুত্তরে রামকান্ত বলিলেন,—
- সমাগতা ন দেব! নরদেব সংসদি” পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে রাজা হরিনাথের প্রপিতামহ দেবোপাধিধারী বৈদ্যের দৌহিত্র ছিলেন। দেবোপাধিধারী বৈদ্ধগণ সমাজের নিম্নস্তরে অবস্থিত। রামকান্ত যাহা উত্তর করিলেন, তাহা দ্ব্যর্থবোধক; এক অর্থ এই যে, হে নরদেব, আপনার সভায় দেবতারা আগমন করেন নাই ; দ্বিতীয় অর্থ এই যে, হে নরদেব, আপনার সভায় আপনার প্রপিতামহের মাতামহ বংশীয় দেবোপাধিধারী বৈদ্যগণ আগমন করেন নাই । রাজা হরিনাথের কুলযজ্ঞ বিনষ্ট হয়, ইহা সকলেরই আন্তরিক অভিপ্রায় ছিল ; সুতরাং রামকান্তের উক্তি শ্রবণ করিয়াই সভাস্থ সকলে করতালি প্রদান করিলেন এবং সভাস্থলে সাতিশয় কোলাহল উত্থিত হুইল । ইতিপূৰ্ব্বে রামকান্তের জীবন রক্ষার্থ এক বহু-ক্ষেপণীযুক্ত নৌকা সজ্জিত হইয়াছিল ; কোলাহলের সুযোগে তিনি সভা হইতে প্রস্থান করিয়া ঐ নৌকার সাহায্যে বিক্রমপুরে প্রস্থান করিলেন।
বঙ্গীয় বৈদ্য-সমাজ যে সপ্তবিংশ স্থলে বিস্তৃত, তন্মধ্যে বিক্রমপুর অন্যতম। তৎকালে বিক্রমপুরের অন্তর্গত “নপাড়া” গ্রামে রঘুনন্দন রায়-নামে এক সুপ্রসিদ্ধ ব্যক্তি বাস করিতেন। তিনি ভরদ্বাজ-বংশে জন্মগ্রহণ করিয়া স্বীয় প্রতিভারলে বিক্রমপুর পরগণার জমিদারী লাভ