( నా ఆ ) যজ্ঞোপবীতধারী জনৈক বৈদ্য-সস্তানের সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ হয় । রাজবল্লভ তাহাকে ব্রাহ্মণ মনে করিয়া প্রণাম করিলে, ঐ ব্যক্তি রাজবল্লভকে প্রতিনমস্কার করেন ; ইহাতে তিনি কিঞ্চিৎ বিস্মিত হইয়। কারণ জিজ্ঞাসা করিলে, উক্ত বৈদ্যসন্তান আত্মপরিচয় প্রদান করিয়া উপবীত-হীনতার নিমিত্ত রাজবল্লভকে লজ্জা প্রদান করেন । কাহারও কাহারও মত এই যে, কোন কার্যোপলক্ষে রাজবল্লভ ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশস্থ ব্রাহ্মণ পণ্ডিত নিমন্ত্রণ করিয়াছিলেন । পশ্চিম ভারতবাসী পণ্ডিতগণ র্ত হাকে নিরুপবীত দেখিয়া বলিলেন, আমরা তোমাকে দ্বিজাতি ভাবিয়াই তোমার নিমন্ত্রণ গ্রহণ করিয়াছিলাম, এখন দেখিতেছি তুমি শূদ্রাচারী, অতএব তোমার নিকট হইতে কোন দান গ্রহণ করিব না । এই ঘটনায় রাজবল্লভ মৰ্ম্মান্তিক কষ্ট অনুভব করিয়া যজ্ঞোপবীত-প্রথ-প্রবত্তনে সমুদ্র্যক্ত হন । বদ্ধমান শ্ৰখণ্ড নিবাসী প্রযুক্ত বাবু দুর্গাচরণ চৌধুরী মহাশয়ের নিকট হইতে যে বৃত্তাস্ত সংগৃহীত হইয়াছে, তদৃষ্টে জানা যায় যে, শ্ৰ খণ্ড সমাজভূক্ত ফকিরচাদ চৌধুরী নামক জনৈক বৈদ্য সন্তান, রাজবল্লভের প্রতি উপনয়নাভাবের নিমিত্ত বিদ্রুপ-বাণ বর্ষণ করিতে ক্রটি করিতেন ন এবং বঙ্গীয় বৈদ্য সমাজ হইতে যে কারণে উপনয়ন প্রথা তিরোহিত হইয়াছিল, তাহ রাজবল্লভ অনুসন্ধানক্রমে অবগত হইয়াই ঐ সমাজে পুনরায় যজ্ঞোপবীত প্রথা প্রচলনের চেষ্টায় ব্ৰতী হইয়াছিলেন । এই উদ্দেশু সাধন করিবার নিমিত্ত তিনি কাশী, কাঞ্চী, দ্রাবিড়, মহারাষ্ট্র, مسير ও উড়িষ্যাপ্রভৃতি ভারতবর্ষের বিভিন্নস্থলের সুপ্রসিদ্ধ পণ্ডিতবর্গকে রাজনগরে আহবান করেন। ঐ সকল পণ্ডিত রাজনগরে সমবেত হইয়া নিরুপবীত বৈদ্য-সন্তানগণের পুনঃ উপনয়ন গ্রহণের অমুকুলে যে ব্যবস্থাপত্র প্রদান করিয়াছিলেন তাহা এই ধু—
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।