এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
أهله হইয়াছে। সাময়িক পত্রিকায় রাজবল্লভ সম্বন্ধে ষে সমস্ত প্রবন্ধ প্রচারিত হইয়াছে, তাছা সংগ্ৰহ করিতেও যথাসম্ভব চেষ্টা করিয়াছি। : যে রাজপুরুষের জীবনী এই পুস্তকে বর্ণিত হইয়াছে, তিনি মুসলমান শাসনের অন্তিম সময়ে পূৰ্ব্ব বাঙ্গালার অদ্বিতীয় ব্যক্তি। তাছার জীবনকালে মুরসিদকুলি খী হইতে মীরকাশেম পৰ্য্যন্ত ক্রমে ছয় জন নবাবের আবির্ভাষ ও তিরোভাব হইয়াছে। ইহা বাঙ্গালার রাজনৈতিক জগতের এক বিপ্লবপূর্ণ যুগ। ঘটনাপরম্পরার সামঞ্জস্য রক্ষা করিবার উদ্বেপ্তে সেই সমস্ত শাসন কর্তৃগণের শাসন সময়ের স্থলস্থল বিবরণ লিপিবদ্ধ করিতে বাধ্য হইয়াছি। কিন্তু প্রচলিত ইতিহাসে যে সমস্ত ঘটনা বিশদ্বরূপে বর্শিত হইয়াছে, তাহা এই পুস্তকে অতি সংক্ষেপে সন্নিবিষ্ট হইল ।
- সায়ের মোতাক্ষরীণ” নামক ইতিহাস ১৭৮০ খ্ৰীষ্টাব্দে বিরচিত হইয়াছিল । সৈয়দ গোলাম হোসেন খা নামক জনৈক সন্ত্রাপ্ত মুসলমান ঐ গ্রন্থের রচয়িতা। গ্রন্থকার, আলিবর্দী, সিরাজউদৌল, মীরকাশেম ও মীরজাফরের সমসাময়িক এবং তাঁহাদের সম্পর্কান্বিত। সেই সময়ের অনেক ঘটনা তিনি প্রত্যক্ষ করিয়া লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। তাহার লিখিত বৃত্তান্ত পাঠ করিলে প্রতীয়মান হয় যে, ঐতিহাসিক সভ্যতা, রক্ষা বিষয়ে তিনি সমধিক-যত্নবান ছিলেন, এবং জাষ্ট্ৰীয়ভার অনুরোধে তিমি কখনও ইচ্ছাপূৰ্ব্বক সত্যের সীমঙ্গলঙ্ঘন করেন নাই। মোসিও রেমও নামক ইসলাম ধৰ্ম্মে দীক্ষিত 'জনৈক ফরাসীস ১৭৮৯ খ্ৰীষ্টাঙ্গে এই গ্রন্থের ইংরাজী অনুবাদ করেন। মুসলমান ধৰ্ম্ম অবলম্বন করিয়া তিনি "ইঞ্জি মস্তাফা” নাম গ্রহণ করিয়াছিলেন। আলিবন্দী হইতে মীরকাশেম পৰ্য্যস্ত নবাবগণের শাসন কালের অনেক ঘটনা তিনিও প্রত্যক্ষ করিয়াছেন। স্বীয় অভিজ্ঞতার প্রতি নির্ভর করিয়া, হাজি মস্তাফা"সাহেব স্বকৃত অম্বুবাদের সহিত যে মন্তব্য প্রকাশ কৱিষ্কাছেন, তাহাও ঐতিহাসিক হিসাবে সমধিক মূল্যবান।