( ১২৪ ) প্রথা-প্রবর্তনের অনুষ্ঠান, কি স্বজাতীয় বিভিন্ন সমাজমধ্যে পরম্প আদানপ্রদানের উদ্যোগ, এই সমস্ত কাৰ্য্যেই রাজবল্লভকে প্রচলিত অথচ শাস্ত্রবিগর্হিত প্রথার বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইতে এবং প্রাচীন শাস্ত্রের আশ্রয় অবলম্বন করিতে দেখা যায়। অতএব যে সমস্ত বৈদিক ক্রিয় পৌরাণিক ধৰ্ম্মপ্লাবিত বাঙ্গালা দেশে, সেনরাজবংশের অধঃপতনের পী হইতে অপ্রচলিত হইয়া পড়িয়াছিল, রাজবল্লভ যে ঐ সমস্ত কায্যে পুনরমুষ্ঠান সম্বন্ধে পথ-প্রদর্শক তাহাতে সন্দেহ করিবার কোন কার নাই । ঐ সমস্ত যজ্ঞ-কার্য্যোপলক্ষে রাজনগরে পবিত্র প্রাচীন বৈদিক যুগের এক জীবন্ত চিত্ৰপট দর্শকমণ্ডলীর সমক্ষে উপস্থিত হইয়াছিল। যজ্ঞস্থলে বৈদিক যুগের রীতি অনুসারে মণ্ডপ, গৃহ ও রথ ইত্যাf প্রস্তুত হইয়াছিল। উদগাতৃগণ সুললিত স্বর সংযোগে সুমধুর সামগান করিয়াছিলেন, ঋত্বিকগণ স্বহস্তে বেদিকানিৰ্ম্মাণ, কাষ্ঠচ্ছেদন ও যুপকা নিৰ্ম্মাণ প্রভৃতি কাৰ্য্য সম্পাদন করিয়াছিলেন, লৌহনিৰ্ম্মিত অস্ত্রের পরি বৰ্ত্তে কাষ্ঠবিনিৰ্ম্মিত প্রহরণ ব্যবহৃত হইয়াছিল, বৈদিক নিয়মানুসা;ে সোমলতা হইতে রস নিষ্পেষণ করা হইয়াছিল এবং মুদ্রার পরিবর্তে গো অথবা ছাগবিনিময়ে সোমলতা ক্রয় করা হইয়াছিল। ঋত্বিকৃগ ভূঃযব সোমরসে সিক্ত করিয়া আহার করিয়াছিলেন এবং যজমান-পত্ন অবগুণ্ঠন-শূন্ত মস্তকে যজ্ঞশালায় প্রবেশ করিয়া, যজমানসহ বৈদিব সময়োচিত নানাবিধ প্রক্রিয় করিয়াছিলেন। তখন বোধহইয়াছিল যেন পৌরাণিক যুগ রাজনগর হইতে অন্তর্হিত এবং পবিত্র বৈদিকযুগ পুনরায় আবির্ভূত হইয়াছে (১) যেন তখন পৰ্য্যন্ত শ্রমবিভাগ (১) শ্ৰীযুক্ত বাবু যতীন্দ্র মোহন রায় ১৩১. সনের জ্যৈষ্ঠ সংখ্যার “নবপ্রভা” নাম মাসিক পত্রিকায় “বদুষী আনন্দময়ী নামক” এক প্রবন্ধ প্রচার করিয়াছেন। ঐ প্রবt
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।