পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৩০ ) পৰ্য্যন্ত তাহার বাক্যমূৰ্ত্তি হইল না। নবাবের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কম্পিত হক্টতে লাগিল এবং তাহার বদনমণ্ডল বিষাদে মলিনতা প্রাপ্ত হইল । সেই সময়েও প্রিয়তম দৌহিত্রের অমঙ্গল আশঙ্ক। আলিবর্দীর স্নেহ প্রবণ হৃদয়কে আলোড়িত করিতেছিল। তৎকালে বর্ষাসুলভ ঝড় বৃষ্টির অভাব ছিল না। বর্ষীয়ান্‌ নবাব তৎসমুদয় তুচ্ছ করিয়া স্নেহপূর্ণ লিপিসহ জনৈক দূত অবিলম্বে দৌহিত্রের নিকট প্রেরণ করিলেন এবং স্বয়ং এক শিবিকায় আরোহণ করিয়া পশ্চাদ্বত্তী হইলেন। সিরাজ ঐ লিপির প্রত্যুত্তরে দূতমুখে বৃদ্ধকে বলিলেন—“আপনি অন্যায়মতে আমাকে পৈতৃক স্বত্ব হইতে বঞ্চিত রাখিয়াছেন এবং বাহ ভালবাসা প্রদর্শন করিয়া আমার ভবিষ্যতের পথ কণ্টকাকীর্ণ করিতে ছেন। নিবাইস ও সৈয়দ আহাম্মদ আপনার অনুগ্রহে প্রচুর সম্পদ লাভ করিয়াছে, আপনি কেবল স্তোভবাক্য দ্বার আমকে ভুলাইয়। রাখিবার প্রয়াস পাইতেছেন। আমি আর আপনার আদেশ প্রতিপালন করিব না এবং পাটনায় যাইয়া স্বহস্তে বিহার প্রদেশের শাসন দণ্ড পরিচালনা করিব। আপনার আর অগ্রসর হওয়ার প্রয়োজন নাই । আমাকে বিরত করিবার চেষ্টা করিলে, হয়, আপনার শিরশেছদ করিব, নতুবা আমার ছিন্ন মস্তক আপনার হস্তীর পদতলে লুষ্ঠিত হইবে।” (১) কিয়ৎকাল মধ্যে সিরাজ অনুচরবর্গসহ পাটনায় সমুপস্থিত হইলেন। আলিবদীর বিশ্বস্ত অমাত্য জানকীরাম এক্ষণে বিষম সমস্তায় পড়িলেন। নবাবের অভিপ্রায় না জানিয়া সিরাজের হস্তে পাটনা নগরীর সমর্পণ করা তাহার সাধ্যায়ত্ত ছিল না। এ দিকে সসৈন্তে বাধাপ্রদান করিলে যুদ্ধে আলিবর্দীর প্রিয়তম দৌহিত্রের প্রাণনাশ হওয়াও বিচিত্র নহে এবং দৈবাৎ ঐরুপ কোন দুর্ঘটনা সংঘটিত হইলে শোকোম্মত্ত নবাব (1) English translation of Sair Motakharin by Hagi Mostapha Vol. II. Pages 95 and 96. •