পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৩৪ ) সহিত অবস্থান করিয়াছিলেন। নিবাইস র্তাহাকে জননীর ন্তায় মান্ত করিতেন এবং জননী বলিয়া সম্বোধন করিতেন। নেফিচ্ছাবিবী নিবাইসের গৃহের সর্বময়ী কত্রী হইয়াছিলেন । সাংসারিক বিষয়ে স্বয়ং ঘেসেটিবিবীও ঐ রমণীর আদেশ অপেক্ষা করিতেন। সরফরাজ-জননী সমীপস্থ হইলেই নিবাইস র্তাহার সমক্ষে করযোড়ে দণ্ডায়মান হইতেন এবং অনুমতি লাভ না করা পর্যন্ত আসনপরিগ্রহ করিতেন না । সায়র মোতাক্ষরীণ প্রণেতা সৈয়দ গোলাম হোসেনের জননী নিবাইস মহম্মদের দূর সম্পর্কান্বিত ছিলেন। একদা ঐ মহিলা অভাবগ্রস্ত হইয়া মুরশিদাবাদে আগমন করেন। সহৃদয় নিবাইস এই সংবাদ শুনিয়া অবিলম্বে তাহার নিকট উপযুক্ত অর্থ প্রেরণ করেন এবং যতকাল তিনি মুরশিদাবাদে অবস্থান করিয়াছিলেন, নিবাইস র্তাহাকে উপযুক্ত পরিমাণে নিয়মিত অর্থ সাহায্য করিতে কদাচ কুষ্ঠিত হন নাই। এই সময় ঐ সৈয়দ ললনা সৰ্ব্বদ। নিবাইসের অন্তঃপুরে যাতায়াত করিতেন। ভাগবিবীনামক নিবাইসের জনৈক অনুগৃহীত নৰ্ত্তকী তদীয় আলয়ে বাস করিতেছিল। দাসদাসীগণ প্রভুর বিরাগভাজন হওয়ার ভয়ে ঘেসেটি বিবীর পরেই ঐ বারবনিতার প্রতি সন্মান প্রদর্শন করিত। কিন্তু গোলাম হোসেন সাহেবের জননী আত্মসম্মান বশতঃ ঐ নৰ্ত্তকীকে সাতিশয় ঘৃণার চক্ষে নিরীক্ষণ করিতেন এবং কদাচ উপযাচিক হইয়া তাহার সহিত বাক্যালাপ করিতেন না। একদা তিনি নিবাইসের আলয়ে আগমন করিয়া নেফিচ্ছ বেগম ও ঘেসেটি বিবীর সহিত কথোপকথনে নিযুক্ত আছেন, এমন সময় ভাগবিবী তথায় উপস্থিত হইয়া ঐ মহিলাকে সমপদস্থ ব্যক্তির দ্যায় সম্বোধন করে । গৰ্ব্বিত, সৈয়দ ললনা ইহাতে সাতিশয় কুপিত হইলেন এবং স্বীয় পরিচারিকার প্রতি অঙ্গুলী নির্দেশ করিয়া