পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ose ) "জাননাময়ী" নামক এক পাষাণময়ী কালিকা-মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠাপিত আছে। গঙ্গারাজ রাজবল্লভ ঐ উভয় দেবতা প্রতিষ্ঠা করিয়া তাহাঁদের সেবার নিমিত্ত প্রায় তিনশত বিধা ভূমি উৎসর্গ করেন। অস্থাপি সেই বৃত্তি হইতে উক্ত দেবতাদ্বয়ের সেবার কার্য নিৰ্ব্বাহিত হইতেছে। টমসন সাহেবের বাটরায় এই ভূমি আনন্দময়ীর বৃত্তি নামে পৃথক রূপে নির্দিষ্ট হইয়াছে (১)। পূৰ্ব্বাঞ্চলবাসী জনসাধারণ ও বণিকূ-সম্প্রদায় *তালতল।” খালদ্বার। সবিশেষ উপকৃত হইতেছে । ইহা খনন করিতে যে বহু সহস্র মুদ্রা ব্যয়িত হইয়াছিল, তাহ সমস্তই রাজবল্লভ স্বীয় কোষাগার হইতে প্রদান করিয়াছিলেন (২) । এই পয়ঃপ্রণালীর দক্ষিণাংশ কীৰ্ত্তিনাশার কুক্ষিগত হইয়াছে এবং ৰে অংশ বর্তমান আছে তাহার দৈর্ঘ্য পনর মাইলের নুন হইবে না। রামদাসের রাজকাৰ্য্য প্রণালী সম্বন্ধে পূৰ্ব্বাঞ্চলে বহুবিধ গল্প প্রচলিত আছে। ঐ সমস্ত গল্পের অধিকাংশ এরূপ অত্যুক্তিপূর্ণ যে তাছ আদৌ বিশ্বাসযোগ্য নহে। প্রচলিত গল্পসমূহ মধ্যে একটি কিয়ং পরিমাণে সম্ভবপর বলিয়া তাহ নিম্নে লিখিত হইল । কথিত আছে যে রামদাস সাতিশয় দাম্ভিক ও অহঙ্কার ছিলেন । কেহ অভিবাদন করিলে তিনি তাছাকে বামকরে প্রত্যভিবাদন করিতেন। ঢাকার জনসাপারণ রামদাসের এই ব্যবহারে আপনাদিগকে অত্যন্ত অপমানিত বোধ করিয়া, নিবাইস মহম্মদের দরবারে (১) তালতলার খালের উপরিভাগে যে ইষ্টকনিৰ্ম্মিত সেতু বিদ্যমান আছে, তাহাও রাজবল্লতের প্রত্বে ও অর্থে প্রস্তুত হইয়াছিল। ঐ সেতুর কিঞ্চিৎ পশ্চিম দিকে এক পঞ্চরত্ন ও ঐ পঞ্চরত্বের অভ্যন্তরে এক স্ববৃহৎ পাযাণময় শিবলিঙ্গ দৃষ্ট হইয় থাকে । মলখা মগরৰাসীরা বলেন, রাজবল্লভ উল্কার প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন। ঐ পঞ্চরত্ব ও অভ্যন্তরস্থ শিবলিঙ্গ প্রায় অবিকৃত অবস্থায় বৰ্ত্তমান আছে। w Hunter’s Statistical Account of Dece, Page 23.