( ১৪৬ ) সময় আগবাখর ঢাকায় অবস্থান করিতেছিলেন । তিনি পুত্রের নিকট সমস্ত বৃত্তান্ত অবগত হইয়া তাহাকে সাহায্য করিতে অগ্রসর হইলেন এবং সমস্ত দিবস ব্যাপিয়া উভয়ে ঐ পৈশাচিক অভিনয়ের আয়োজনে ব্যাপৃত রহিলেন । ক্রমে দিবা-অবসান ও নিশাকাল সমাগত হইল। নগরবাসিগণ দৈনিকফ্লাস্তি অপনোদন করিবার নিমিত্ত নিদ্রার মুকোমল ক্রোড়ে আশ্রয় গ্রহণ করিল। লোক-কোলাহলপূর্ণ ঢাকানগরী এক্ষণে নিস্তব্ধতা ধারণ করিয়াছে, ঘোর তিমিরাবরণে সমস্ত জগৎ আচ্ছন্ন হইয়াছে, রাজপথে জনপ্রাণীর নাম গন্ধও নাই, ক্ষণে ক্ষণে দুই একটি কুকুর অৰ্দ্ধনিমিলিতলোচনে অস্ফুট শব্দ করিয়া নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করিতেছে, দস্থ্য ও তস্কর প্রভৃতি নিকৃষ্ট শ্রেণীস্থ মানবগণ গৃহ হইতে বহির্গত হইয়া স্ব স্ব অসদভিপ্রায় সাধন করিবার উদ্দেশ্যে ধীরে ও নিঃশকে পাদচারণা করিতেছে এবং নিশাচর পেচক স্বকীয় স্বভাবসিদ্ধ বিকটধ্বনি করিয়া মানবের হৃদয়ে আতঙ্ক সঞ্চার করিয়া দিতেছে। আগাবাখর ও মহম্মদ সাদক ইহাই সংকল্প সিদ্ধির উপযুক্ত অবসর জ্ঞান করিয়া দ্বাদশসংখ্যক সশস্ত্র অনুচরসহ গৃহ হইতে যাত্রা করিল, এবং রাজপথ অতিক্রম করিয়া ক্রমে হাসনউদিনের আলয়ের দ্বারদেশে সমুপস্থিত হইল। এই সময় হাসনউদ্দিন খা মুকোমল শয্যায় গাঢ় নিদ্রায় অভিভূত ছিলেন এবং তাহার দ্বারপাল ও শরীররক্ষিবর্গ নিদ্রাবেশে অচেতন প্রায় ছিল। আগাবাথর ও তাহার সশস্ত্র অনুচরগণ অতি সহজেই ঐ সমস্ত প্রহরী এবং রক্ষিগণকে আয়ত্ত করিয়া দ্বারভঙ্গপূৰ্ব্বক হাসনউদিনের শয়নকক্ষে প্রবেশ করিল। অকস্মাৎ কক্ষমধ্যে কোলাহল উপস্থিত হইলে তাহার নিদ্রাভঙ্গ হইল, এবং তিনি সত্বর গাত্ৰোখান করিয়া আততায়গণের সম্মুখীন হইবার উদ্যোগ করিলেন। ইতিমধ্যে পাষণ্ড আগাবাখর পুত্রসহ অগ্রসর হইয়। তর
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।