( ১৪৯ ) অনন্তর সিরাজ হোসেন কুলীখার উচ্ছেদ সাধনে অগ্রসর হইলেন। নবাবপত্নী প্রিয়তম দৌহিত্রের পক্ষাৰলম্বন করিয়া হোসেন কুলীখার নিধন-সাধন-বিষয়ে মালিবর্দীর সম্মতি প্রার্থনা করিলেন । আলিবন্ধী উত্তর করিলেন, নিবাইস মহম্মদের অনুমতি ভিন্ন এ কার্য্যে হস্তক্ষেপ করা যাইতে পারে না, অতএব সৰ্ব্বাগ্রে তাহার সম্মতি গ্রহণ করিতে হইবে। অগত্যা ঐ মহিলা নিবাইসের সন্মতি সংগ্ৰহ করিবার নিমিত্ত জ্যেষ্ঠ কন্যা ঘেসেটি বিবীর শরণাগত হইলেন। হোসেন, ঘেসেটি বিবীর প্রমোপহার তুচ্ছ করিয়া সিরাজ-জননী আমন বেগমের প্রতি অধিকতর অঙ্কুরক্ত হইয়াছিলেন ; এ নিমিত্ত হোসেনকুলীখা ঐ রমণীর বিষনেত্রে পতিত হইয়াছিলেন। ঘেসেটি বিবী জননীর নিগুঢ় অভিপ্রায় বুঝিতে অক্ষম হইয়া কেবল স্ত্রীজাতিসুলভ ঈর্ষাবশতঃ নবাবপত্নীর প্রস্তাবে সন্মত হইলেন এবং কৌশলক্রমে নিবাইস মহম্মদের অনুমতি গ্রহণ করিলেন । ষড়যন্ত্র পরিপক্ক হইলে আলিবর্দী মৃগয়াব্যপদেশে মুরশিদাবাদ পরিত্যাগ করিয়া রাজমহলের দিকে প্রস্থান করিলেন । সিরাজ অবিলম্বে কতিপয় অনুচর সহ হোসেনকুলীৰ্থার দ্বারদেশে উপস্থিত হইয়া ঠাহাকে আহবান করিলেন। ছোসেন ও তদীয় অন্ধ ভ্রাতা হায়দর ধ্যস্থ জ্যোতিৰ্ম্ময় প্রস্তরখণ্ড হইতে আলোকমালা নির্গত হইয়া সমস্ত গৃহ আলোকিত Fরিয়াছে। রাজবল্পত এই ঘটনায় কিঞ্চিৎ অপ্রতিভ হইয়াছিলেন। কিয়ৎকাল {রে নবাব কোন কারণে আগবাথরের প্রতি অসন্তুষ্ট হইয় তাহার জমিদারী অধিকার ক্ষরিবার নিমিত্ত সৈন্য প্রেরণের উদ্যোগ করেন । এই সময় রাজবল্লডের পুত্র কৃষ্ণদাস রতনকৃষ্ণ নবাবের সৈন্ত লইয়। আগাবাথরকে আক্রমণ করেন। যুদ্ধে আগাবাথর নিধন প্রাপ্ত হইয়াছিল ।” যে সময় হাসনউদ্দিন খুঁ। নিহত হন, ঐ সময় কৃষ্ণদাস টাকার দেওয়ানিপদে নিযুক্ত ছলেন। হাসনউদিন নিহত হইলে যে রাজকীয় সৈন্য আগাবাখরের আলয় অবরোধ
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।