পঞ্চম পরিচ্ছেদ নিবাইসের লোকান্তর গমন নিবাইস মহম্মদ আমনা বেগমের দ্বিতীয় পুত্র এক্রামউদ্দৌল্লাকে পোষ্যপুত্ররূপে গ্রহণ করিয়াছিলেন এবং তৎপ্রতি সাতিশয় অনুরক্ত ছিলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে ১৭৫৩ খৃষ্টাব্দে নিদারুণ বসন্ত রোগে ঐ বালকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নিবাইস ও তাহার পরিবারস্থ যাবতীয় লোক নিরতিশয় মৰ্ম্মাহত হইয়াছিলেন । কালে সকলেরই শোকের আবেগ মন্দীভূত হইল, কিন্তু নিবাইসের স্নেহপ্রবণ হৃদয়ে যে আঘাত লাগিয়াছিল তাহা অার উপশমিত হইল না। তিনি প্রত্যহ মৃত পুত্রের উদ্দেশু্যে করুণ বিলাপ করিয়া দেহ ক্ষয় করিতে লাগিলেন। ঘেসেটিবিবী নানারূপ শুশ্ৰুষা করিলেন, স্বয়ং আলিবর্দী মতিঝিল প্রাসাদে আগমন করিয়া নিবাইসের মনোরঞ্জন করিতে প্রয়াস পাইলেন, কিন্তু শোকাৰ্ত্ত পিতার অশান্ত অন্তঃকরণে কোন উপায়েই শাস্তি সংস্থাপিত হইল না । ভগবানের কৃপায় ইতিমধ্যে এক্রামের বিধবা পত্নী এক পুত্ররত্ন প্রসব করিলেন। ঐ শিশুর সরল ও রমণীয় মুখমণ্ডল নিরীক্ষণ করিয়া নিবাইস মৃত পুত্রের শোক কিয়ৎ পরিমাণে বিস্কৃত হইলেন । আলিবর্দী মুযোগ বুঝিয় নিবাইসের মনোরঞ্জনের নিমিত্ত এই বালককে *মবারক উদ্দৌল্লা” উপাধি ও ঢাকাবিভাগের নাজিমি পদ প্রদান করিলেন । কিয়ুৎকাল অতীত হইলে, নিবাইস শোথরোগে আক্রান্ত হইলেন । ঘেসেটি বিবী ও পরিবারস্থ অন্তান্ত মহিলাগণ তাহাকে ঔষধ সেবন করিবার নিমিত্ত নানারূপ চেষ্টা করিলেন, কিন্তু নিবাহস কোন ক্রমেই তাহা সেবন করিতে সম্মত হইলেন না । রোগ ক্রমশঃ বুদ্ধি
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৬০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।