পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ot 8 ) পাইতে লাগিল এবং রোগীর অবস্থাও ক্রমে সংকটজনক হইয়া দাড়াইল । আলিবর্দী উপায়াস্তুর না দেখিয়া নিবাইসকে নিজ আলয়ে লইয়া গেলেন এবং তথায় নিয়মিত রূপে চিকিৎসা চলিতে লাগিল। নিবাইসের পরমায়ু পুর্ণ হইয়া আসিয়াছিল, সুতরাং ঔষধে কোন ক্রিয়া করিল না। অবশেষে যখন তাহার জীবন-প্রদীপ নিৰ্ব্বাণোন্মুখ হইল, তখন ঘেসেটি বিবী কাহাকেও কিছু না বলিয়া রোগ ক্লষ্ট নিবাই সের সমভিব্যাহারে মতিঝিলের প্রাসাদে প্রত্যাবৃত্ত হইলেন । ঘেসেটি বিবী বুঝিয়াছিলেন যে, অচিরেই নিবাইসের জীবনপ্রদীপ নিৰ্ব্বাপিত হইবে এবং ঐ অবস্থায় আলিবদার প্রাসাদে অবস্থান করিলে তাহাকে সিরাজের করতলগত হইতে হইবে । যে সময় নিবাইস মতিঝিলের প্রাসাদে আনীত হইতেছিলেন, তৎকালে তাহার অবস্থা অতি শোচনীয় হইয়া, ছিল, তিনি ষ একস্থান হইতে স্থানান্তরে নীত হইতেছেন তাঙ্ক। র্তাহার বুঝিবার সাধ্য ছিল না। মৃত্যুর পূৰ্ব্বদিন সায়ংকালে নিবাহস পাশ্বস্থ অনুচরবর্গকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আগামী কল্য কি বার ?” তাহারা “সোমবার” বলিয়া উত্তর করিলে, তিনি পুনরায় বলিলেন শুভদিন বটে, ঐ দিবস প্রিয়ুতমের সহিত আমার সম্মিলন হু ইবে । অনস্তুর ১৭৫৬ খৃষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসের প্রথমভাগে, একদা রজনীযোগে নিবাইসের পবিত্র আত্মা অমরধামে চলিয়া গেল । এই নিদারুণ সংবাদ মুরশিদাবাদে প্রচারিত ৩ হতে অধিক সময় থত হইল না। প্রভাত হইতে না হইতেই দলে দলে লোক আসিয়া নিবাইসের উদ্যান-বাটিকা পারপুর্ণ করিল। স্বয়ং আলিবর্দী স্বজনগণ সছ শোকাকুলিতদ্বদয়ে মতিঝিলের প্রাসাদে উপস্থিত হইলেন। নিবাইসের মৃতদেহ প্রক্ষালন করিয়া নুতুন বস্ত্রে মণ্ডিত করা হইল । যখন আলিবর্দী ও অন্যান্স আত্মীয়বর্গ সমাধিস্থলে বহন করিবার নিমিত্ত ঐ দেহ উত্তোলন করিলেন, অমনি সম্মিলিত জনতা হইতে হৃদয়ু বিদারক