( &ని ) এই অবস্থায় কিয়ংকাল নিৰ্ব্বিঘ্নে কাৰ্য্য চলিল এবং ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি বহু অর্থ ব্যয় করিয়া, ১৬৬০ খৃষ্টাব্দে ঢাকা প্রভৃতি বাঙ্গালার নানা স্থানে বাণিজ্য কুঠী সংস্থাপন করিলেন । এই সময় হইতে বাঙ্গালার নবাব ইংরেজfদগের নিকট শুল্কের দাবি করিয়া সম্ভবাতিরিক্ত অর্থ শোষণ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। ১৬৮৫ খৃষ্টাব্দে কলিকাত নগরীর স্থাপয়িত স্ব প্রসিদ্ধ যব চাণক সাহেব হুগলী বন্দরস্থ কুঠার অধ্যক্ষপদে নিযুক্ত ছিলেন । তিনি নবাবের উৎপীড়ন সহ করিতে অসমর্থ হইয়া অস্ত্র ধারণ করিলেন । ইংরেজ জাতির সৌভাগাস্বর্যা উদিত হইতে তখনও বিলম্ব ছিল । সুতরাং নবাব সায়েস্তা খী ঐ কুঠী বাজেয়াপ্ত করিয়া ইংরেজ বণিকদিগকে বাঙ্গালাদেশ হইতে বিতাড়িত করিলেন । ১৬৮৯ খৃষ্টাব্দে সন্ধি স্থাপিত হইলে, যব চাণক সাহেব কতিপয় সৈন্তসহ পুনরায় বাঙ্গালাদেশে আগমন করিয়া মুতানটী গ্রামে এক কুঠী সংস্থাপন করিলেন। ১৬৯০ খৃষ্টাব্দে সম্রাট আরঙ্গজেব যে সনন্দ প্রদান করিয়াছিলেন, তদনুসারে বার্ষিক তিন সহস্র মুদ্রা প্রদান করিয়া ইংরেজ কোম্পানি বাঙ্গালা দেশে বিনা শুল্কে বাণিজ্য করিবার অধিকার লাভ করিল। মুতানুটির কুঠী সংস্থাপিত হইলে, ইংরেজগণ তথায় দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন, কিন্তু ক্রমাগত পাঁচ বৎসরের চেষ্টায়ও কোন ফল লাভ হইল না । ইতিমধ্যে বৰ্দ্ধমানাধিপতি বিদ্রোহী হইয়। হুগলী ও মুরশিদাবাদ লুণ্ঠন করিলেন । অগত্য নবাব ইউরোপীয় বণিক সম্প্রদায়কে আত্মরক্ষার উপায় অবলম্বন করিবার অনুমতি প্রদান করিলেন । তদনুসারে ১৬৯৬ খৃষ্টাব্দে, অর্থাৎ ইব্রাহিম খাঁর নবাব আমলে, ইংরেজগণ কলিকাতায়, ওলন্দাজগণ চুচুড়ায়, এবং ফরাসীগণ চন্দননগরে, দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিয়া শক্তি সঞ্চয় করিতে প্রবৃত্ত হইলেন ।
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।