( २ ) কার, কুম্ভকার, গোপ, মালাকার, কাংস্তবণিক, গন্ধবণিক, স্বর্ণবণিক্ ও তন্তুবায় প্রভৃতি ব্যবসায়ী স্বীয় স্বীয় ব্যবসায় পরিচালনার নিমিত্ত উক্ত জনপদের বিভিন্ন অংশে স্থায়িক্কপে অবস্থান করিত। ফলতঃ সেই সময় সমগ্র পূর্ববঙ্গের অভ্যন্তরে অন্য কোন স্থানে এত বিভিন্ন জাতীয় লোকের বসতি দৃষ্ট হইত না। অধিকাংশ লোকের অবস্থা উন্নত ছিল, দিবস ও যামিনী সকল সময়ে প্রায় সমভাবে লোক-কোলাহল উখিত হইয়া রাজনগরের সজীবতা বিঘোষিত করিত। যে সময়ের কথা হইতেছে, তৎকালে পদ্মা নদীর এই শাখা উক্ত জনপদের জনেক উত্তর দিয়া ক্ষুদ্রকলেৰরে পুৰ্ব্ব হইতে পশ্চিম অভিমুখে প্রবহমাণ ছিল । সে সময় লোকে ইহাকে “রথখোলার” খাল নামে অভিহিত করিত (১)। ১৭৮৩ খৃষ্টাকে মেজর রেনেল সাহেব বঙ্গদেশের যে মানচিত্র অঙ্কিত করেন, তাহাতে এ স্থলে কোন নদীর অস্থিত্বই পরিলক্ষিত হয় না। এই সময় পঙ্গু নদী ঢাকা জিলার পশ্চিম ও দক্ষিণপশ্চিম দিয়া প্রবাহিত হইত, এবং বাখরগঞ্জ জিলার অন্তর্গত মেহেদিগঞ্জ নামক স্থানে সুপ্রসিদ্ধ মেঘনাদ নামক নদের সহিত, মিলিত হইয়াছিল (২)। রাজনগরের বক্ষ বিদীর্ণ করিয়া পুৰ্ব্ব হইতে পশ্চিম অভিমুখে এক পয়ঃপ্রণালী প্রবাহিত ছিল । এই খালের সাহায্যে উক্ত জনপদে অতি সহজে পণ্যদ্রব্যের আমদানি ও রপ্তানি হইত । (১) অতিপূর্বে এই খালের অস্তিত্বই ছিল ন৷L এই স্থলের দক্ষিণ ভাগে রাজনগর প্রভৃত্তি, জনপদ ও উত্তরভাগ্নে ছাতারভোগ প্রভৃতি গ্রাম অবস্থিত ছিল। এই খালের অবস্থান স্বলে উভয় পার্শ্বস্তু আমৰাদিগণের রাধাংসৰ সম্পন্ন হইত। রথচক্ষের আবর্তনে কালক্রমে ক্ষয়প্রাপ্ত হইয়া উভয় পার্শ্বন্ধ छूबि श्ल में इन निब इश्छा बांs, এবং বৃক্টর জল এৰাতি হইতে হইতে উৎ খালের আকার ধারণ করে ; এজষ্ট ঐ খালকে রথখোলার খাল বলিত। ' (a) Huntersສິtatistical Actsunt of Dacca,
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।