দশম পরিচ্ছেদ সিরাজের উচ্ছেদ সাধন আলিবর্দীর দ্বিতীয় জামাতা সৈয়দ আহাম্মদ পূর্ণিয়ার শাসন কর্তৃ পদে নিযুক্ত ছিলেন। সিরাজ যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত হইলে, তিনি দিল্লির দরবারে চেষ্টা করিয়া পুত্র সকত জঙ্গের নিমিত্ত বাঙ্গালা, বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশের নাজিমি সনন্দ সংগ্রহ করেন । আলিবদীর জীবদ্দশায় সৈয়দ আহাম্মদ পরলোক গমন করেন এবং সকতজঙ্গ তৎস্থলে পূর্ণিয়ার শাসন কর্তৃত্বে নিযুক্ত হন। এই যুবক কোন অংশেই সিরাজ অপেক্ষ উৎকৃষ্ট ছিলেন না ; কিন্তু বাঙ্গালার রাজপুরুষগণ তদীয় চরিত্র বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে অনভিজ্ঞ ছিলেন । র্তাহারা মনে করিলেন সকত জঙ্গ রাজ্য লাভ করিলে অত্যাচারের লাঘব হইবে, সুতরাং তাহারা সিরা জের বিরুদ্ধে অভিযান করিবার নিমিত্ত সকতজঙ্গকে অনুরোধ করিয়৷ দূত প্রেরণ করিলেন। ইতিপূৰ্ব্বেই সিরাজের সহিত সকতজঙ্গের মনোমালিন্য সংঘটিত হইয়াছিল। সকতজঙ্গের যুদ্ধোদ্যমের পূৰ্ব্বেই সিরাজ সসৈন্তে পূর্ণিয়ায় গমন করিয়া তাহাকে পরাভূত ও নিহত করিলেন । পূর্ণিয় প্রদেশ সিরাজের করতলগত হইল এবং তিনি প্রিয় সেনানী মোহনলালের পুত্রকে ঐ স্থলের শাসন-কর্তৃত্বে নিযুক্ত করিয়া মুরশিদাবাদে প্রত্যাবৃত্ত হইলেন। ষড়যন্ত্রকারিগণ এইস্থলে ভগ্নোদ্যম হুইয়া স্থানান্তরে সাহায্যের অম্বুসন্ধান করিলেন। ক্ষিতীশ বংশাবলী প্রণেতা ৮কাৰ্ত্তিকেয় চন্দ্র রায় বলেন, এই উদ্দেশ্যে জগৎশেঠের ভবনে এক গুপ্তসমিতি আছুত
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।