( obre ) হইয়াছিল। ঐ সমিতিতে রায়দুল্লভ, মীরজাফর, কৃষ্ণচন্দ্র, রামনারায়ণ, রাজবল্লভ এবং কৃষ্ণদাস যোগদান করিয়াছিলেন । এই সভায় কৃষ্ণচন্দ্রের প্রস্তাবে স্থির হইয়াছিল যে, মীরজাফরকে নবাবী পদ প্রদান করা হইবে এবং সংকল্প সাধনের নিমিত্ত ইংরেজবণিকের সাহায্য গহণ করিতে হইলে (১)। প্রচলিত ইতিহাস পাঠে অবগত হওয়া যায় যে, রামনারায়ণ ঐ ষড়যন্ত্রে আদে লিপ্ত ছিলেন না । পলাসীর যুদ্ধের অবসানে তিনি বহুকাল পর্য্যন্ত মীরজাফরের বহুতো স্বীকার করেন নাই। অতএব তিনি যে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন, তাহা কদাচ বিশ্বাস করা যায় না । কৃষ্ণচন্দ্র ও রাজবল্লভ যে ঐ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন, তাহা কোন ইতিহাসে স্পষ্টবাক্যে লিখিত হয় নাই । কিন্তু এই ব্যাপারে তাছাদের যে সংস্রব ছিল তদ্বিষয়ে জনশ্রুতির অভাব নাই ৷ সায়র মোতাক্ষরীণ পাঠে জ্ঞাত হওয়া যায় যে, ঘেসেটি বিবি পুরাতন বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারিদ্বারা এই কার্য্যে যথেষ্ট উৎসাহ প্রদান করিয়াছিলেন। রাজবল্লভ ঘসেটি বিবীর অতি বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারী। অতএব ঐ মহিলার প্রতিনিধি স্বরূপ তিনি যে ষড়যন্ত্রে যোগদান করিয়াছিলেন, তাহ সহজেই অনুমান করা যাইতে পারে । - কলিকাতা সিরাজের হস্তে নিপতিত হইবার অব্যবহিত পরেই হতাবশিষ্ট ইংরেজগণ তাহদের দুরবস্থা বর্ণনা করিয়া মান্দ্রাজে লোক প্রেরণ করিয়াছিল এবং মাত্ৰাজ হইতে কর্ণেল ক্লাইব সসৈন্তে কলিকাতায় আগমন করিয়া ঐ নগরী পুনরুদ্ধার করিয়াছিলেন । কলিকাতাবাসী ইংরেজগণ সিরাজের সৰ্ব্বনাশ সাধন করিবার সুযোগ (১) কান্ধিকে চন্দ্র রায় প্রণীত ক্ষিতীশ বংশাবলী, ১১ংপৃঃ হইতে ১০° পূঃ
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।