পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ومنالا ) অমুসন্ধান করিতেছিলেন । এই সময় বাঙ্গালার রাজপুরুষগণ সরাজের বিরুদ্ধে সাহায্যের প্রার্থনা করিয়া তাহাদের নিকট দূত প্রেরণ করি. লেন। ইংরেজেরা এই প্রস্তাবে সহজেই সম্মত হইলেন । এই সময় স্থিরীকৃত হইল যে, মীরজাফর সিংহাসন লাভ করিলে তিনি ইংরেজ কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ স্বরূপ ছুইকোট মুদ্র প্রদান করিবেন। ১৭৫৭ খৃষ্টাব্দের জুন মাসের প্রথম ভাগে কর্ণেল ক্লাইব ইংরেজ বাহিনীসহ মুরশিদাবাদ অভিমুখে যাত্রা করিলেন। সিরাজ তাহাদের আগমনবাৰ্ত্ত। শ্রবণ করিয়া মোহনলাল ও মীরমদন প্রভৃতি সেনানীগণস পলাসীর প্রাঙ্গনে শিবির সংস্থাপন করিলেন। মীরজাফর ও রায়দুলভ স্ব স্ব সেনাদল সহ নবাবের সহিত প্রকাঃে যোগদান করিয়াছিলেন ; কিন্তু র্তাহারা মনে মনে স্থির করিয়াছিলেন যে, আবশুক হইলে তাহার। যুদ্ধকালে নবাবের প্রতিকুলতাচরণ করি বেন । ২৩শে জুন তারিখে নবাব সৈন্তের সহিত ক্লাইবের যুদ্ধ উপস্থিত হইল । বেল দ্বিপ্রহরের সময় শত্রুপক্ষীয় কামানের গোলায় মীরমদনের পদযুগল উড়িয়া গেল। এই ঘটনায় নবাব সৈন্তমধ্যে ত্রাসের সঞ্চার হইতেছিল, কিন্তু মোহনলাল অমিত বিক্রমে যুদ্ধক্ষেত্রে অগ্রসর হইয়া ইংরেজ শিবিরে মহামারী উপস্থিত করিলেন । কর্ণেল ক্লাইব মোহনলালের বীরত্বে প্রমাদ গণিতে ছিলেন, ইতিমধ্যে মীরজাফর নবাবের নিকট উপস্থিত হইয়া বলিলেন, 'অদ্য বেলা অবসান হইয়াছে এবং সৈন্তগণ রণপ্রমে ক্লান্ত হইয়া - পড়িয়াছে, এক্ষণে যুদ্ধ ক্ষান্ত করা হউক, আগামী কল্য পূর্ণ উৎসাহে পুনরায় যুদ্ধ করা যাইবে। নিৰ্ব্বোধ সিরাজ মীরজাফরের চাতুরী বুঝিতে অক্ষম হইয়া মোহনলালকে যুদ্ধ হইতে বিরত হইবার নিমিত্ত আদেশ প্রদান করিলেন। মোহনলাল সাতিশয় অনিচ্ছার সহিত নবাবের আদেশ প্রতিপালন করা মাত্রই ইংrবঞ্জ সেন ভীমবেগে নবাৰ সৈন্তের উপর নিপতিত হইয় তাহাদিগকে