( t ) পূৰ্ব্বদিক হইতে রাজনগরের খাল, অবলম্বনে তথার প্রবেশ করিলে, “রাজসাগর” নামক এক বিস্তৃত জলাশয় সৰ্ব্বপ্রথম আগন্তকের নয়মগোচর হইত। এই সরোবরের আয়তন এত বৃহৎ ছিল যে, উহার এক তীর হইতে বন্দুক-ধ্বনি করিলে তাহা অপর তীয়ে স্থম্পষ্টরূপে শ্রতিগোচর হইত না। রাজসাগরের প্রত্যেক ত্তটদেশের মধ্যস্থলে এক একটি ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত সোপানাবলী সংস্থাপিত ছিল, এবং তস্থায়৷ অভ্যন্তরস্থ সুশীতল বারিরাশি সাধারণের পক্ষে সহজ-লত্য হুইয়াছিল । বায়ু-প্রবাহে সলিলরাশি সঞ্চালিত হইলে অগণ্য তরঙ্গমালা সমুৎপন্ন হইত, এবং তৎকালে এই সরোবরকে একটি স্বভাবজাত হ্রদ বলিয়৷ ভ্ৰম জন্মিত। এই জলাশয়ের উত্তর ভাগে “রাজসাগরের হাট” নামক সুপ্রসিদ্ধ বন্দর অবস্থিত ছিল । বন্দরের মধ্য দিয়া বহুসংখ্যক রাস্ত পূৰ্ব্ব হইতে পশ্চিম এবং উত্তর হইতে দক্ষিণ দিকে বহুদূর বিস্তৃত ছিল। এই সমস্ত স্বাস্তার উভয়পার্শ্বে নানা শ্রেণীর ব্যবসায়িগণ আপণ-সংস্থাপনপূৰ্ব্বক পাশ্ববৰ্ত্তা লোকের আবণ্ডক দ্রব্যাদি সরবরাহ করিত। সে সময়ের সভ্যতার উপযোগী সমস্ত বস্তুই তথায় স্থলভ ছিল। বঙ্গরের উত্তর ভাগে রাজসাগরের খাল সৰ্ব্বদা প্রবহমাণ থাকায় অল্পব্যয়ে পণ্যদ্রব্যের আমদানি ও রপ্তানি হইত। রাজসাগরের পশ্চিম তটে ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত ও বিচিত্র কারুকার্য্য খচিত চুই স্ববৃহৎ দেবালয় বিদ্যমান ছিল। তন্মধ্যে এক দেবালয়ে মহাপ্ৰভু নামক দেবতা এবং অপর দেবালয়ে জগন্নাথদেব। প্রতিষ্ঠাপিত ছিলেন। উভয় দেবতা, প্রত্যহ ষোড়শোপচারে অর্জিত হইতেন, এবং প্রতি পূৰ্ব্বান্ধে, মধ্যাহে ও সায়াহ্নে উক্ত সমস্ত দেবাশয়ে আরতি হইত ; সে ঘৃত দর্শকগণের মর্শস্থলে প্রবেশ কৰি ক্ষক্তির উৎস উন্মুক্ত করিয়া দিত। - - - - সরোবরের পূর্ব দক্ষিণ ও পশ্চিম তটে বহুসংখ্যক ব্যৱসায়ী জাস্তি BB BBBS BB BBB DDDtmSBDDS DBBSBBDDDDD
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।