পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৯৩ ) সিরাজের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হইয়াছিল, তাহাতে রামনারায়ণের কোন সংস্রব ছিল না। বাল্যকালে তিনি আলিবর্দীর সংসারে প্রতিপালিত হইয়াছিলেন, সুতরাং তাছার পরিবারবর্গের প্রতি এই হিন্দু কৰ্ম্মচারীর বিশেষ মমতা জন্মিয়াছিল। মীরজাফর সিংহাসন লাভ করিলে রামনারায়ণ সাতিশয় দুঃখিত হইলেন এবং তাহার বহুত৷ স্বীকার করা কৰ্ত্তব্য কিনা তদ্বিষয়ে ইতস্ততঃ করিতে লাগিলেন । এই সময় হাজি আলি খাঁ নামক জনৈক মুসলমান মোহনলালের পুত্রকে পরাভূত করিয়া পূর্ণিয়া প্রদেশ অধিকার করে। হাজি আলি ধা ও রামনারায়ণ, এই উভয় শক্রকে দমন করিবার অভিপ্রায়ে, মীরজাফর কর্ণেল ক্লাইবের সাহায্য প্রার্থনা করিলেন এবং স্বয়ং মুরশিদাবাদ পরিত্যাগ করিয়া সসৈন্তে আজিমাবাদের দিকে অগ্রসর হইতে লাগিলেন। পথিমধ্যে খাদেম হাসন খাঁ সসৈন্যে উপস্থিত হইয়া মীরজাফরকে বলিল, ‘পূর্ণিয়া প্রদেশের শাসন-কর্তৃত্ব লাভ করিতে পারিলে আমি হাজি আলি ধার বিরুদ্ধে অভিযান করিতে পারি।” মীরজাফর খাদেম হাসনকে পূর্ণিয়ার শাসনকর্তৃপদে নিযুক্ত করিয়৷ তাছাকে হাজি আলির বিরুদ্ধে প্রেরণ করিলেন এবং খাদেম হাসন তাহাকে পরাভূত করিয়া পূর্ণিয় প্রদেশ অধিকার করিল। মীরজাফর ক্রমে রাজমহলে উপস্থিত হইয়া ক্লাইবের অপেক্ষায় ঐ স্থলে শিবির সংস্থাপন করিলে, ক্লাইব সসৈন্তে র্তাহার সহিত মিলিত হইলেন এবং উভয়ে একযোগে পাটনায় আগমন করিলেন । এস্থলে ক্লাইবের মধ্যস্থতায় মীরজাফরের সহিত রামনারায়ণের মিলন সংঘটিত হইল। রামনারায়ণ মীরজাফরের বহুত স্বীকার করিলেন, মীরজাফরও রামনারায়ণকে বিহার প্রদেশের শাসন-কর্তৃ-পদে স্থিরতর রাখিয়া, ১৭৫৮ খৃষ্টাব্দে, মে মাসে ক্লাইবের সহিত মুরশিদাবাদে প্রত্যাবৃত্ত হইলেন । -