U & J পুরাতন দীঘি অতিক্রম করিয়া উত্তর দিকে কিঞ্চিৎ অগ্রসর হইলে, রায় মৃত্যুঞ্জয়ের আবাসস্থলের তোরণদ্বার, সন্মুখে দণ্ডায়মান থাকিয়৷ পথিকের গতিরোধ করিত। রায় মৃত্যুঞ্জয় মহারাজ রাজবল্লভের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার পুত্র। রাজবল্লভের পরে রাজনগর মধ্যে ক্ষমতা ও ঐশ্বৰ্য্যে রায় মৃত্যুঞ্জয়ই শ্রেষ্ঠ ছিলেন। তাহার নিকেতন বহুসংখ্যক অট্টালিকাদ্বারা পরিশোভিত ছিল, এবং সেই সমস্ত অট্টালিকায় যথেষ্ট স্থপতি-কৌশল झूठे श्झेऊ। e পুরাতন দীঘির পশ্চিম তটের উত্তর প্রান্ত হইতে এক রাস্তা পশ্চিম দিকে প্রসারিত ছিল । এই রাস্তার উভয় পাশ্বে কতিপয় ক্ষুদ্র ও বৃহৎ সরোবর বিদ্যমান ছিল । ইহাই রাজনগরের সুপ্রসিদ্ধ "পুরাতন দরজা ।” পুরাতন দরজার পশ্চিম প্রান্তে মহারাজ রাজবল্লভের পিতা কৃষ্ণজীবন মজুমদারের ভদ্রাসন। উক্ত স্থলে যে বহুসংখ্যক হৰ্ম্ম্য ৰিদ্যমান ছিল, তন্মধ্যে "নবরত্ন” নামক প্রাসাদই সমধিক উল্লেখযোগ্য । একটি চতুষ্কোণ একতল অট্টালিকার অভ্যন্তরে এক সুবিস্তৃত হল, এবং হলের চতুর্দিকে চারিটি এবং প্রত্যেক কোণে এক একটি চতুষ্কোণ মঠ, এবং প্রতি দুই মঠের মধ্যভাগে এক একটি ঝিকটি ঘর (১)। ছাতের মধ্যস্থলে যে একটি মঠ ছিল, তাহার উচ্চতা চতুষ্পাশ্বস্থ ঝিকটি ঘর অপেক্ষ অধিক ছিল । সমগ্ৰ অট্টালিকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইষ্টক ও প্রস্তরখণ্ডদ্বারা নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, এবং প্রাচীরের গাত্রে নানাবিধ লতা, পাতা ও পুষ্প অঙ্কিত ছিল। মধ্যস্থ মঠের উচ্চতা ভূতল হইতে একশত হস্তের নুন ছিল মা। পুরাতন দীঘির পশ্চিম তটের মধ্যভাগ হইতে প্রায় ৬৫ হস্ত প্রন্থে এক বস্তু পশ্চিম দিকে বিস্তৃত ছিল। ইহাই মহারাজ রাজবল্লভের (১) ইংক অধ্য প্রস্তর নির্শিত গৃহ বিশেষ। এই গৃহের ছাত দোচালা ঘৱেৰ চালার স্থা সমিষ্টি। - -
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।