পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( e ) আবাসস্থলে প্রবেশ করিবার পথ । এই পথ অবলম্বনে পশ্চিম দিকে গমন করিলে, “একবিংশতি রত্ন” নামক বিশাল তোরণদ্বার দৃষ্টিপথে পতিত হইয়। যুগপৎ ভয় ও বিস্ময় উৎপাদন করিত। এই তোরণদ্বার এক ত্রিতল অট্টালিকা, প্রত্যেক নিম্নতলের ছাতের মধ্যস্থলে উৰ্দ্ধতরতল অবস্থিত ছিল। প্রথম তলের মধ্যভাগে সিংহদ্বার, ঐ দ্বারের ছাত অৰ্দ্ধবৃত্তাকারে গঠিত ছিল, এবং অভ্যন্তরস্থ বক্স এত বিস্তৃত ছিল যে, তন্মধ্য দিয়া তিনটি হস্তী হাওদা-সহ পাশাপাশি হইয়া অনায়াসে গমন করিতে পারিত। দ্বারের সন্মুখদেশে দুই ক্ষুদ্র বেদিক ছিল, সেই বেদিকার উপর দণ্ডায়মান হইয়া সান্ত্রীগণ অষ্টপ্রহর দ্বারদেশ রক্ষা করিত। সিংহদ্বারের উভয় পাশ্বের ও একতলের অভ্যন্তরে বহুসংখ্যক थ८कोई विनाशान ছিল ; তন্মধ্যে রাজকীয় সৈন্তাগণ অবস্থান করিত। একতলের ছাতের প্রত্যেক কোণে এক একটি মঠ ও সন্মুখস্থ দুই মঠের মধ্যভাগে এবং সিংহদ্বারের উপরিভাগে তিনটি ঝিকটি ঘর পরম্পর সংলগ্ন অবস্থার অবস্থিত ছিল। মধ্যস্থ ঝিকটি ঘর উভয়পার্শ্বস্থ ঝিকটি ঘর অপেক্ষ কিঞ্চিৎ উচ্চ ও বৃহদায়তন ছিল। প্রত্যহ প্রাতে মধ্যাহে ও সায়াহ্নে এই সমস্ত ঝিকটি ঘরে মুমধুর নহবৎ বাদিত হইত। দ্বিতলের ছাতের প্রত্যেক কোণে এক একটি মঠ এবং ত্রিতলের ছাতের মধ্যভাগে একাদশটি মঠ দণ্ডায়মান ছিল। এই একাদশট মঠের মধ্যস্থ মঠ সৰ্ব্বাপেক্ষা উচ্চ এবং উভয় দিকের প্রত্যেক পরবর্তী মঠ তৎপূর্ববর্তী মঠ অপেক্ষ ক্রমশঃ নিম্ন ছিল "এই সমস্ত মঠের শিরোভাগ রেখার দ্বারা সংযুক্ত করিলে সেই রেখা একটি ধমুর ন্যায় প্রতীয়মান হইত। এই দ্বারের পশ্চিম ভাগে এক বিস্তৃত প্রাঙ্গণ। সেই প্রাঙ্গণের দক্ষিণ ভাগে ‘সেম্বর” নামক প্রকোষ্ঠত্রয় সমন্বিত এক দ্বিতল অট্টালিকা অবস্থিত ছিল। উৎসৰ উপলক্ষে বাদকগণ উক্ত অট্টালিকায় উপবেশন পূর্বক বাদ্যোদাম করিত। প্রাঙ্গণের উত্তর ভাগে বিচিত্র কারূকার্য্য