( २२७ ) ইংরেজ সেনানীর এই অশিষ্টাচারের বৃত্তান্ত অবগত হইরা নবাব নিরতিশয় ক্র,দ্ধ হইলেন, এবং কুটু সাহেবের রক্ষিত লোককে তীব্র ভৎসনা করিয়া, কলিকাভা কেন্সিলে ঐ সাহেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থিত করিলেন। কোন্সিলের সদস্যগণ কুটু সাহেবের কায্যে সাতিশয় অসন্তোষ প্রকাশ করিলে, তিনি আপনাকে অভ্যস্ত অপমানিত বোধ করিয়া কাৰ্য্য পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক স্বদেশে প্রস্থান করিলেন (১)। মীর কাসেম পূৰ্ব্ব হইতেই রামনারায়ণের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। কৌন্সিলের সদস্যগণ রামনারায়ণের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন বলিয়া, তিনি এ পর্য্যন্ত এই হিন্দু কৰ্ম্মচারীর কোন অনিষ্টসাধন করিতে সক্ষম হন নাই । কুট্ সাহেব সংক্রান্ত ঘটনায় রামনারায়ণের অভিসন্ধি প্রকাশিত হইলে, সমস্ত সদস্ত র্তাহার পক্ষ পরিত্যাগ করিলেন। নবাব এই সুযোগে রামনারায়ণকে কাৰ্য্য হইতে অপসারিত করিলেন, এবং নিকাশের ছলে তাছাকে কারারুদ্ধ করিয়া রাথিলেন। এই সময় রাজবল্লভ রামনারায়ণের স্থলে বিহারের শাসন-কর্তৃত্বে নিযুক্ত হইলেন। ১৭৬০ খৃষ্টাব্দের শেষভাগ হইতে ১৭৬৩ খৃষ্টাব্দের প্রথম ভাগ পর্য্যন্ত রাজবল্লভ এই কার্যা নিৰ্ব্বাহ করিয়াছিলেন (২) । - ভাগলপুরের ফৌজদার আতা কুলী খার পুত্র কেশব আলি খাঁ, এবং হায়দর আলি খ, নবাবের মাতুল-ভ্রাতা মীর আবদুল হাসন খার সহিত (*) English Translation of Sair Motakharin, Vol. II. page 371. (*) Do pages 415 to 419 and pages 425 & 431. ब्लुङ बार् कक्षानष्टा निश् बश्न गर्थे। नयालाब्रुङद्र ९०° পৃষ্ঠায় লিথিয়াছেন, “রামনারায়ণ এই সময় পাটনার গবর্নয় ছিলেন, তৎপর সিতাবরায় ঐ পদ প্রাপ্ত হন?” কৈলাস বাবুর লিখিত উদ্ধত বাক্যাংশ ঠাহীর পূর্ব ও পরবর্তী উক্তির সহিত মিলাইয়। দেখিলে স্পষ্ট প্রতীয়মান হইবে যে, কৈলাস বাবুর মতে রাজবল্লভ কখনও বিহার প্রদেশের শাসন-কর্তৃ-পদ লাভ করেন নাই। এক্ষণে জিজ্ঞাস্য, কৈলাস বাবুর উক্তিই ৰিশ্বাস যোগ্য, কি সায়র মোতাক্ষরণেই লিখিত বৃত্তান্ত বিশ্বাস যোগ্য ?
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।