দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ রাজবল্লভ কারাগারে সিংহাসনে আরোহণ করিয়াই মীরকাসেম দেখিতে পাইলেন যে, রাজকোষ একেবারে শূন্ত হইয়া পড়িয়াছে, এবং বহুকাল যাবৎ যে সমস্ত মণিমুক্ত নেজামতে সঞ্চিত হইতেছিল, তাহ সমস্তই মীরজাফর কলিকাতা যাত্রাকালে আত্মসাৎ করিয়াছেন । এদিকে বেতন বাবদ রাজকীয় সৈন্তগণের অনেক টাকা পাওনা হইয়াছে, এবং পলাশীর যুদ্ধের প্রাক্কালে মীরজাফর ইংরেজ কোম্পানিকে যে টাকা দিতে প্রতিশ্রুত হইয়াছিলেন, তাহার অধিকাংশ অপরিশোধিত রহিয়াছে (১)। প্রথমতঃ তিনি ইব্রাইম খা নামক বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারীর সাহায্যে সেনাগণের প্রাপ্যের প্রকৃত পরিমাণ নিৰ্দ্ধারণ করিলেন, এবং জগৎশেঠের নিকট হইতে অর্থসাহায্য গ্রহণ করিয়া তাহার এক তৃতীয়াংশ অনতিবিলম্বেই পরিশোধ করিয়া ফেলিলেন । অবশিষ্ট্রের অদ্ধাংশ রাজস্ব হইতে পরিশোধ করিবার জন্তু স্থিরীকৃভ হইল, এবং শেষাংশ ক্রমে পরিশোধ করিবেন বলিয়া তিনি অঙ্গীকার করিলেন । এক্ষণ হইভে নিয়ম হইল যে, সেনাগণের প্রত্যেক মাসের প্রাপ্য বেতন মাস অতীত্ত হওয়া মাত্রই রীতিমত প্রদান করা হইৰে । সেনা বিভাগে যে অসন্তোষ-বহ্নি প্রধূমিত হইতেছিল, এই স্ববঙ্গোৰন্তে তাছ। অচিরে নিৰ্ব্বাপিত হইল (২) । (s) English Translation of Sair Motakharin, by Haji Mostapha, Vol. II. page 391. ۔-- (२) Do, page 385.
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।