( ર૬ર )
- আচ্ছা তাহাই হইবে’ বলিয়া মীরকাসেম প্রহরিবর্গের প্রতি আদেশ করিলেন যে, রাজবল্লভ ও কৃষ্ণদাসের বক্ষে শিলা বন্ধন করিয়া, উভয়কে দুর্গের উপরিভাগ হইতে ভাগীরথী ললিলে নিক্ষেপ করিতে হুইবে । "
আদেশ প্রচারিত হওয়ার অব্যবহিত পরেই প্রহরিগণ পিতা ও পুত্র উভয়কে দুর্গের উপরিভাগে লইয়া গিয়া প্রত্যেকের বক্ষে এক এক থও শিলা বন্ধন করিল। তৎকালে সন্ধ্যা সমাগত হইয়াছিল, দুর্গের পাদদেশ চুম্বন করিয়া পুণ্যসলিলা ভাগীরথী খরবেগে প্রবহমাণা হইতেছিল, রাজবল্লভ ও কৃষ্ণদাস অস্তিম সময় সমাগত জানিয়া মনে প্রাণে ইষ্টদেবত্তার আরাধনা করিতেছিলেন। সেই সময়ে জনৈক প্রহরী পশ্চাৎভাগ হইত্তে সবলে রাজবল্লভকে তাড়না করিল। “হ রাম !” এই মাত্র শব্দ করিয়া তিনি নদীগর্ভুে নিপতিত হইলেন এবং অবিলম্বে কৃষ্ণদাসও পিতার অনুগমন করিলেন। রাজবল্লভের মৃত্যুকালীন আর্তপ্লাদ ভাগীরথীর কুলে কুলে প্রতিধ্বনিত হইল। মুঙ্গেরের অধিবাসিবর্গ এবং নদীস্থিত নাবিকগণ ঘোর সন্ধ্যার সময় হঠাৎ ঐ মাৰ্ত্তনাদ শুনিয়া এাতঙ্কে শিহরিয়া উঠিল (১)। অতুলনীয় প্রতিভ, মীরকাসেমের প্ৰশংসভায় এইরূপে পুণ্যতোয়া জাহ্নবী-সলিলে বিসর্জিত হইল (২) । (১) “জন্মভূমি” নামক মাসিক পত্রিকায় জীযুক্ত বাবু অঘোরনাথ দত্ত মহাশয় “মুঙ্গের" নামক ষে প্রবন্ধ প্রচার করিয়াছিলেন তাছা অবলম্বলে লিখিত । (২) মুরশিদাবাদ কীরিটেশ্বরীর আলয়ে রাজবল্লভ এক মন্দির ও এক পাষাণময় শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। ঐ শিবলিঙ্গ রাজবল্লভেম্বর” নামে আখ্যাত। কথিত আছে, যে সময় রাজবল্লভ মুঙ্গেরের দুর্গের উপরিভাগ হইতে ভাগীরধাঁর গর্ডে দিক্ষিপ্ত হইয়া গ্রাণত্যাগ করেন, ঐ সময় এক ভয়ঙ্কর শব্দ হইয়। ঐ শিবলিঙ্গ বিদীর্ণ ছইয়া গিয়াছিল। অদ্যাপি ঐ মন্দির এবং ভগ্ন শিবলিঙ্গ কীরিটেশ্বরীর আলগ্নে बिंभTभीम श्रां८छ् ।