( w- ) গুল্প বীখি ও রথখোলার নদী, একখণ্ড শুক্ল বন্ধের স্তায় প্রতীয়মান হইত। মন্দিরের তলদেশ ভূতল হইতে প্রায় ১২৫ হাত উচ্চ ছিল । এই অঙ্গনের দক্ষিণ ভাগে একটি একতল অট্টালিকা ও উত্তর ভাগে অপর একটি কারুকার্য্য বিশিষ্ট্র ঝিকটি ঘর বিদ্যমান ছিল। রাজকীয় কৰ্ম্মচারিগণ দক্ষিণ ভাগের একতলে উপবেশন-পূৰ্ব্বক বৈষয়িক কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতেন, এবং শরৎ ঋতুতে জগজ্জননী দশভূজা ঐ ঝিকটি ঘরে প্রাসাদবাসী ভক্তবৃন্দ দ্বারা অর্চিত হইতেন। প্রাঙ্গণের অপর পার্থে পঞ্চরত্ন নামক স্বরম্য দেবালয় প্রতিষ্ঠাপিত ছিল। সমগ্র রাজনগর মধ্যে অন্য কোন অট্টালিকাই শিল্পচাতুৰ্য্যে এই অট্টালিকার সমকক্ষতা লাভ করিতে ক্ষম হয় নাই। পাচটি দ্বিতল মন্দির একত্রে সংযুক্ত হওয়ায় উহা পঞ্চরত্ন নামে অভিহিত হইত। ঐ সকল মন্দিরের একটি মধ্যস্থলে এবং অবশিষ্ট সমস্ত ঐ মধ্যস্থ মন্দিরের প্রত্যেক কোণদেশের সহিত সংলগ্ন হইয় গঠিত হইয়াছিল। প্রতি মন্দিরের প্রাচীরের উভয়দিকে নানাবিধ দেবদেবীর মূৰ্ত্তি ও লতাপাত অঙ্কিত ছিল। পঞ্চরত্নের এক কক্ষে লক্ষ্মীনারায়ণ চক্র, এক কক্ষে রাজরাজেশ্বরী, এক কক্ষে কাত্যায়নী ও অপর দুই কক্ষে অন্যান্ত দেবতাগণ প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। এই প্রাঙ্গণ পার হইয়া ক্রমে আরও দুই প্রাঙ্গণ অতিক্রম করিলে, অন্তঃপুরের সীমায় উপস্থিত হওয়া যাইত। এই উভয় প্রাঙ্গণের পশ্চিম ভাগে এক একটি তোরণদ্বার এবং উত্তর দক্ষিণ ভাগে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ অট্টালিকা সমূহ বিদ্যমান ছিল। -- - অন্তঃপুর খণ্ডের চতুর্দিকে চারিটি স্ববৃহৎ অট্টালিকা পরম্পর সংযুক্ত অবস্থায় অবস্থিত ছিল। প্রত্যেক অট্টালিকার অভ্যন্তরে বহুসংখ্যক প্রকোষ্ঠ এবং সম্মুখদেশে বারানা ; উত্তরভাগের অট্টালিকা ত্রিতল ও অপর তিন ভাগের অট্টালিকা একতল। মহারাজ রাজবল্লভের শয়নকক্ষ এই ত্রিতল অট্টালিকায় সংস্থাপিত ছিল ।
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।