( २8७ ) ভাগীরথীর যে স্থলে পিতা ও পুত্র নিমজ্জিত হইয়াছিলেন, অধুনা তথায় এক পাষাণময় দ্বীপের আবির্ভাব হইয়াছে। ঐ দ্বীপ মলপথন নামে অভিহিত। কেহ কেহ বলেন, উভয়ের বক্ষে যে শিলাখণ্ড বন্ধন করা হইয়াছিল, তাহাই ক্রমে বদ্ধিতায়ুতন হইয়া ঈদৃশ আকারে পরিণত হইয়াছে। শীত, বসন্ত ও গ্রীষ্ম ঋতুতে ঐ দ্বীপ ভাগীরথীর পুণ্যসলিলে অন্ধনিমগ্ন অবস্থায় অবস্থান করে, এবং বর্ষাকালে উহা সম্পূর্ণরূপে নিমগ্ন হইয়া যায়। বর্ষার খরস্রোতে কোন নৌকা হঠাৎ ঐ স্থলে আহত হইয়া চূর্ণীকৃত না হয়, এই উদেখে এক্ষণে ঐ দ্বীপে এক সমুন্নত পতাকা উডডীয়মান থাকে (১)। এই শোচনীয় পরিণামের সময় রাজবল্লভের বয়ঃক্রম ৫৬ বৎসরের অধিক হয় নাই এবং কৃষ্ণদাস মাত্র ৩২ বৎসরে পদার্পণ করিয়াছিলেন । ৮ চন্দ্রকুমার রায় মহাশয়ের লিখিত রাজবল্লভের জীবনী পাঠে অবগত হওয়া বায় যে, ইতিপূৰ্ব্বে রাজবল্লভের জীবনীসম্বন্ধে সংস্কৃত ভাষায়ু এক গ্রন্থ বিরচিত হইয়াছিল, এবং তাহাতে রাজবল্লভের মৃত্যুসম্বন্ধে নিম্নলিখিত শ্লোকটি বিদ্যমান আছে (২), দুঃখের বিষয় সবিশেষ চেষ্টা সত্ত্বেও ঐ গ্রন্থের অনুসন্ধান পাই নাই । - অময়াং শ্রাবণে মাসি সোমবারে দিবাগতে । নিময়েী জন্যজনকাবাস্তাং ভাগীরথীজলে ॥ কাহারও মতে শেঠ-ভ্রাতৃদ্বয়, রামনারায়ণ এবং রায়ুরায়ান উমেরায় এই সময় জাহ্নবীসলিলে নিক্ষিপ্ত হইয়া প্রাণ বিসজ্জন করেন। কিন্তু সায়র মোতাক্ষরাণে লিখিত আছে যে, উদয়নালার যুদ্ধের পর মীরকাসেম (১) মুঙ্গের প্রবাদী শ্ৰীযুক্ত বাবু কেদারনাথ ঘোষ মহাশয়ের লিখিত বৃত্তান্ত অবলম্বন করিয়৷ লিখিত । (২) ৮ চন্দ্রকুমার রায় প্রণীত মহারাজ রাজবল্লভ, ৫১ পৃঃ ।
পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।